একের পর বিজেপির জনপ্রতিনিধি দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তৃণমূলে।বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ তৃণমূলে গিয়েছেন সোমবার। তার পরের দিনই বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের তৃণমূল যাত্রা। এবার তাদের বিরুদ্ধে কার্যত কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সরাসরি তিনি নিজের প্যাডে চিঠি পাঠিয়েছেন দুই বিধায়কের কাছে। চিঠি পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করার কথা জন্য তিনি লিখেছেন। যদি এক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর না দেন তবে ধরে নিতে হবে আপনি তৃণমূল ত্যাগ করেছেন।
তবে এবার দলত্যাগীদের নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও। তিনি জানিয়েছেন, 'কংগ্রেস থেকে যারা তৃণমূলে চলে গিয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে কংগ্রেস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। মানস ভুঁইয়া কংগ্রেসে ছিলেন তিনিও তৃণমূলে চলে যান। যারা সংবাদ মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার ছিলেন তারাই তৃণমূলে চলে যান। কিন্তু কংগ্রেস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কারণ তাতে কংগ্রেস দলটা থাকবে না। কিন্তু বিজেপি আর কংগ্রেস এক নয়। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। যারা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে।যারা সমালোচনা করছেন তাদের কথা বলার কোনও রাজনৈতিক অধিকার নেই। বিরোধী পরিস্থিতিতে ও বিপরীত পরিস্থিতিতে রাজনীতি করা কঠিন। অনেকে যাচ্ছেন বাধ্য হয়ে প্রশাসনের চাপে। অনেকে যাচ্ছেন ভয়ে। অনেক যাচ্ছেন ভক্তিতে। এটা ক্ষমতার ভক্তি।'
অন্যদিকে তিনি বলেন,' দিব্যেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানা নেই। শিশির বাবু প্রধানমন্ত্রীর একটি মঞ্চে হাজির ছিলেন। তাঁকে বিজেপির পতাকা হাতে দেখা যায়নি। প্রচার করতেও দেখা যায়নি বিজেপির হয়ে। শিশিরবাবুর বক্তব্য তিনি বলবেন।' তবে তথাগত রায় প্রসঙ্গে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।