১৫ অগস্ট জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় একদল দুষ্কৃতী পতাকা লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ জানিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেন শুভেন্দু অধিকারী। এই মামলায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বলেন, জাতীয় পতাকার অবমাননা করে কেউ নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারে না।
স্বাধীনতা দিবসের দিন বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস হাইস্কুলে পতাকা উত্তোলনের সময় এক ব্যক্তি এলোপাথাড়ি ঢিল ছোড়ে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ৩১ জনকে গ্রেফতারও করা হয়। জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, অভিযুক্তরা তিনবেলা খাবার পাবেন তার পর পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে মুক্তি পেয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মতো ঘুরে বেড়াবেন, এটা হতে পারে না। এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেম প্রধান বিচারপতি। আগামী ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।
এই ঢিল ছোড়ার ঘটনায় প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, স্কুলের ভিতরে পতাকা উত্তোলন হচ্ছিল, যদি যদি বাচ্চা থাকে তবে কী হবে? সরকারি স্কুলে রোজ জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। এখনকার মানুষ তার জন্য গর্ববোধ করেন। কারণ জাতীয় সঙ্গীতের উপত্তিস্থল পশ্চিমবঙ্গ। সরকারি স্কুলে খুব গরিব মানুষও বাচ্চাদের পড়াতে পাঠান।
প্রধান বিচারপতি পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘জাতীয় পতাকার অবমাননা মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ তদন্ত করে জানুক কেন এই ঘটনা ঘটল। ধৃতদের বিরুদ্ধে আগে কোনও মামলা আছে কি না বা কোনও অপরাধমূলক কাজকর্মে রিপোর্ট আছে কি না। তিনি পুলিশকে বলেন, 'সত্যি খুঁজে বের করুন। এতে রাজনীতির রং দেবেন না।'
(পড়তে পারেন। যাদবপুরের ঘটনায় আদালতে র্যাগিং বিরোধী ধারা যোগের আবেদন পুলিশের)
ধৃতরা কোন সংশোধনাগারে আছেন তাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এরা কোন জেলে আছে?’ রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, চুঁচুড়া সংশোধনাগার। প্রধান বিচারপতি পাল্টা বলেন, 'চুঁচুড়া খুব আরামদায়ক জায়গা, এদের মালদা বা মুর্শিদাবাদে পাঠিয়ে দেব।'