ফের একবার রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশে আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন কটাক্ষ করে বুদ্ধিজীবীদের ‘পরজীবী’ বলেন তিনি। এদিন CAA-র বিরোধিতায় বুদ্ধিজীবীদের মিছিলকে কটাক্ষ করে দিলীপবাবু বলেন, ‘দিদিমণি ঘাড় ধাক্কা ওদের রাস্তায় বার করেছে।’
শুক্রবার হাওড়ায় ছিল বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন দিলীপবাবু। আর দ্বিতীয়বার সভাপতি হয়ে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান দিলীপবাবু বাম-কংগ্রেস ও তৃণমূলকে এক বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানান। তাঁর বক্তব্যের সমালোচনা করায় বিশেষ করে আক্রমণের শিকার হন বুদ্ধিজীবীরা।
এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘মানুষ এখন দূর থেকে দাড়ি আর ঝোলা ব্যাগ দেখলেই বলে ওই যে পরজীবী যাচ্ছে। এরা পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে সারা জীবন খেয়েছেন। বাংলাদেশে যখন হিন্দুরা নির্যাতিত হন তখন কোথায় থাকে এদের দরদ? হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হলে এদের যত জ্বালা। আর রোহিঙ্গাদের জন্য বুক ফেটে যায়।’
বুদ্ধিজীবীদের মিছিলকে কটাক্ষ করে দিলীপবাবু বলেন, ‘এতদিন আইপিএস, উপাচার্যরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাপে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন। এবার দিদিমণি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বুদ্ধিজীবীদের পথে নামিয়েছেন। বলেছেন, আমার খাও, আমার পরো, হাঁটবে না মানে?’
দিলীপবাবুর মন্তব্য, ‘২০১৪ সালের ভোটের আগে এই বুদ্ধিজীবীরা মোদীর বিরুদ্ধে চিত্কার করেছিল। মোদী তাদের বুকের ওপর দিয়ে হেঁটে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ২০১৯ সালে আবার চিত্কার করেছিল, তাতে আমাদের সংখ্যা আরও বেড়েছে। আমাদের বুদ্ধিজীবীর দরকার নেই। খেটে খাওয়া মানুষই বিজেপির শক্তি। যেখানে বুদ্ধিজীবী দেখবেন, বুঝবেন গোলমাল আছে।’
বলে রাখি, গত রবিবার নদিয়ায় এক জনসভায় দিলীপ ঘোষ সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরকারীদের গুলি করে মারার নিদান দিয়েছিলেন। দিলীপবাবুর এহেন মন্তব্যের বিরোধিতা করে রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধিতা হয় তাঁর দলের ভিতরেও। দিলীপবাবুর মন্তব্যের বিরোধিতায় মুখর হয়েছিলেন বুদ্ধিজীবীরাও। অনেকে তাঁর মানসিক স্থিরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। এদিন তারই জবাব দিলেন দিলীপবাবু।