কম্বলকাণ্ডে আসনসোল পুরসভার কাউন্সিলর তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তেওয়ারির বিরুদ্ধে পুলিশকে তদন্ত চালিয়ে যেতেন বললেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আগামী শুনানিতে তিনি পুলিশকে কেস ডায়েরি আনতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর আগেই কাউন্সিলরকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আদালত।
আসানসোলে একটি অনুষ্ঠানে কম্বল বিতরণের সময় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। ওই অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিলেন বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তেওয়ারি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে একটি মামলা হয়। বুধবার মামলাটির শুনানি ছিল। শুনানিতে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ আদালতে বলে, চৈতালি তেওয়ারি সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না। তদন্তেও সহযোগিতা করছেন না।
এর জবাবে বিচারপতি মান্থা পুলিশকে বলেন, অভিযুক্ত অসত্য তথ্য দিতেই পারেন। সত্য খুঁজে বার করার কাজ পুলিশের। তাই বিজেপি কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে সত্য উদ্ঘাটনের নির্দেশ দেন বিচারপতি সেই সেই তিনি চৈতালির রক্ষাকচবের সময়সীমাও বাড়িয়ে দেন। প্রসঙ্গত, আগেই কাউন্সিলরকে রক্ষা কবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই রক্ষাকবচের সীমা আরও ৩ সপ্তাহ বাড়িয়ে দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। যার ফলে চৈতালিকে আপাতত গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ।
গত বছর আসানসোলের একটি কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সেই বিশৃঙ্খলার জেরে তিন পদপিষ্ট হয়ে মারা যান। বিজেপি কাউন্সিলার আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সভা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া পর এই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা হয়। পুলিশের থেকে অভিযোগ করা হয়, অনুমতি না নিয়ে অনুষ্ঠানটি করা হচ্ছিল। কিন্তু বিজেপির থেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চৈতালি তেওয়ারি বাড়ি যায়। কিন্তু দু’বার পুলিশ তাঁরা বাড়িতে গেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন কাউন্সিলর। আদালত জিজ্ঞাসাবাদের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয় আদালত। ওই মামলাতেই এবার পুলিশকে তদন্ত জারি রাখতে বলে চৈতালি তেওয়ারির রক্ষা কবচের মেয়াদও বাড়িয়ে দিল হাইকোর্ট।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup