বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Flood in North Bengal : নিজেদের এলাকাকে বাঁচান-বিজেপি বিধায়কদের কেন এই কথা বললেন সেচমন্ত্রী

Flood in North Bengal : নিজেদের এলাকাকে বাঁচান-বিজেপি বিধায়কদের কেন এই কথা বললেন সেচমন্ত্রী

সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। ফাইল ছবি।

এদিন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি আলিপুরদুয়ার গিয়েছিলাম। সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন রাজ্য সরকার ভাঙন প্রতিরোধে সমাধান করলেও ভুটান থেকে জল এসে প্লাবিত হচ্ছে।’ এই সমস্যা নিয়ে ভুটানের সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের আলোচনা করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। 

উত্তরবঙ্গে বন্যা একটি বড় সমস্যা। বর্ষাকাল আসলেই প্লাবিত হয় উত্তরবঙ্গের বহু এলাকা। মূলত ভুটান থেকে জল আসার ফলেই প্লাবিত হয়ে থাকে উত্তরবঙ্গের ওই সমস্ত এলাকা। এই সমস্যার সমাধানে এবার বিরোধীদের পাশে চাইছেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিরোধীরা যেন প্রধানমন্ত্রী কাছে এ বিষয়ে আরজি জানায়। তিনি জানান, ‘ভুটান থেকে জল এসে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সেই জল বন্ধ না করলে এলাকা প্লাবিত হতেই থাকবে। তাই আগে ভুটান থেকে জল আসাটা বন্ধ করা দরকার।’ মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘রাজ্যের স্বার্থে সর্বদলীয় প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়া উচিত।’

আরও পড়ুন: ভাঙন রোধে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র, অভিযোগ তুলে বিজেপিকে আক্রমণ সেচমন্ত্রীর

এদিন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি আলিপুরদুয়ার গিয়েছিলাম। সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন রাজ্য সরকার ভাঙন প্রতিরোধে সমাধান করলেও ভুটান থেকে জল এসে প্লাবিত হচ্ছে।’ এই সমস্যা নিয়ে ভুটানের সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের আলোচনা করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সেচমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিজেপি কথা দিয়ে কথা রাখে না। এর আগেও গঙ্গা ভাঙন রোধে প্রধানমন্ত্রী কাছে যাওয়ার জন্য বিরোধীদের আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে বিরোধী দলনেতা মনোজ টিগ্গা সহমত পোষণ করেছিলেন। তবে শোভন চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতাকে চিঠি দিয়ে সর্বদল প্রতিনিধি দলের জন্য নামের তালিকা চান। তখন শুভেন্দু অধিকারী সেই তালিকা দেননি। ফলে সেই সময় সর্বদলের প্রতিনিধি দিল্লিতে যেতে পারেনি।’

 তিনি বিরোধী বিধায়কদের বার্তা দেন, ‘আপনাদের বলছি আপনারা নিজেদের এলাকাকে বাঁচান। আপনারা না বাঁচালে কে বাঁচাবে? কেন্দ্রীয় সরকার এনিয়ে আলোচনা না করলে আলিপুরদুয়ারে বন্যা আটকানো যাবে না।’ এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেলমন্ত্রী থাকার প্রসঙ্গ টানেন সেচমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার উন্নয়নের কাজ করেছিলেন। আর বিজেপি বাংলার মানুষকে হাতে নাতে মারতে চাইছে।’ সেচমন্ত্রী বলেন, ‘ভুটান যেহেতু আলাদা একটি রাষ্ট্র। তাই অন্য একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে তো কোনও রাজ্য বৈঠকে বসতে পারে না। তাই কেন্দ্রকেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’ এর জন্য কেন্দ্রের কাছে সমস্ত দলকে একসঙ্গে আবেদন জানাতে হবে বলেই তাঁর বক্তব্য।

বন্ধ করুন