মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার তথা বর্তমান বিজেপি নেতা দেবাশিস ধর। তবে দেবাশিস ধরের সেই মামলার আবেদন গ্রহণই করল না শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল শীর্ষ আদালতে মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলার আবেদন করেছিলেন দেবাশিস ধর। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে জরুরি শুনানির আবেদন করা হয়। এই আবহে ৩০ এপ্রিল মামলাটি তালিকাভুক্ত করা হয়। দেবাশিসের হয়ে বেঞ্চের সামনে তাই গতকাল আবেদনের উল্লেখ করেন আইনজীবী নিধেশ গুপ্তা। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ ধরের আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। (আরও পড়ুন: SBI দিচ্ছে সর্বোচ্চ ৭% সুদ, তবে FD-তে ৯% ইন্টারেস্ট মিলছে এখানে...)
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ককে দেওয়া এই সুদের টাকা ফেরত পাবেন গ্রাহকরা! ঋণ নিয়ে নয়া নির্দেশিকা RBI-এর
উল্লেখ্য, বীরভূমে তৃণমূলের শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে দেবাশিসকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাঁকে 'নো ডিউজ' সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, সরকারি কর্মীর কাছে রাজ্য সরকারের কোনও পাওনা নেই, এই মর্মে নো ডিউজ সার্টিফিকেট দেওয়া হয় অবসরগ্রহণকারীকে। এর জেরে দেবাশিসের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এই আশঙ্কা অবশ্য বিজেপির মনে আগে থেকেই ছিল। তাই বিজেপির তরফ থেকে দেবতনু ভট্টাচার্য মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তিনি বিজেপির রাঢ়বঙ্গের ক্লাস্টার ইনচার্জ। (আরও পড়ুন: বিমান যাত্রার নিয়মে বড় বদল! প্লেনের ভাড়া থেকে বাদ পড়ল এই ৭টি 'চার্জ')
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াও মে মাসে বাংলায় ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে ৭ দিন! দেখে নিন তালিকা
এদিকে এই বীরভূমে সেই ২০০৯ সাল থেকে জিতে এসেছেন তৃণমূলের শতাব্দী। তবে এত বছর বীরভূমে চলত 'কেষ্ট ম্যাজিক'। এই প্রথম এই জেলায় অনুব্রত মণ্ডলকে ছাড়া ভোট হবে। আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোট রয়েছে বীরভূমে। এদিকে প্রার্থিপদ বাতিলের আগে পর্যন্ত জোর কদমে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন দেবাশিস। তবে এখন বীরভূমের বিজেপি কর্মীরাও ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছেন। (আরও পড়ুন: ভোটের মাঝে বাংলার সরকারি কর্মীদের জন্য 'দুঃসংবাদ', কপালে পড়ল চিন্তার ভাঁজ)
আরও পড়ুন: সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের নিয়মে বদল মে থেকে, পকেটে টান আম জনতার
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারে শীতলকুচি এলাকায় গুলি চলাকালীন সেখানে পুলিশ সুপার ছিলেন দেবাশিস। তারপর সেখান থেকে তাঁকে সরিয়ে দেয় নবান্ন। তাঁকে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে রাখা হয়েছিল। আর লোকসভা ভোটের আগে দেবাশিস আইপিএস-এর চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। এই আবহে সম্প্রতি জেলায় প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবাশিসের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভাগীয় তদন্তের কথা বলেছিলেন। এদিকে দেবাশিস বিজেপিতে যোগ দিয়ে দাবি করেছিলন, তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে, শীতলকুচির ঘটনার জন্যে নয়। তাঁর দাবি ছিল, ভোটে তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। তাঁর ভূমিকা নিরপেক্ষ থাকায় তাঁর ওপরে সরকারের কোপ পড়ে বলে দেবাশিসের অভিযোগ। তবে ভোটের ময়দানে নেমেও ধাক্কা খেতে হল দেবাশিসকে। মনোনয়ন বাতিলের জন্য রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ ছিল, ইস্তফা দেওয়ার পর আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও রাজ্য সরকার দেবাশিস ধরকে ছাড়পত্র দেয়নি। তবে এই নিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেও স্বস্তি পেলেন না দেবাশিস।