সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে দেখতে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। বসিরহাট থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা কারনোর পর কলকাতার অ্যাপলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। সুকান্তকে দেখে বেরিয়ে এসে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘শারীরিক হেনস্থা হয়েছে। আমার মনে হয় মমতার নির্দেশেই হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আইসিইউতে আছেন পর্যবেক্ষণে। সেলাইন ছাড়া কিছু নিতে পড়েছেন না। বমি ভাব আছে। ওনার রেস্ট দরকার। ভালো চিকিৎসা হচ্ছে। আমরা ক্রস চেক করেও চিকিৎসার উপর নজর রাখছি।’
শুভেন্দু বলেন, ‘লিখিত জানিয়েছেন, আমিও মেল করেছি পাল্টা। কমউনিনাল লোক আছে। এক এস পি মেহেদী হাসান! আর আমিনুল ইসলাম। নাম শুনলেই বুঝতে পারছেন! ৯২০ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। আজ রাত ঘুমিয়ে নিন। কাল বিজেপি দেখাবে। প্রত্যেক বিজেপি কর্মীর সঙ্গে আমরা আছি। গ্রেফতার হলে আমরা দাঁড়াব।’
পড়ুন। সন্দেশখালি নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করুন, রাজ্যকে পরামর্শ বোসের, কটাক্ষ কুণালের
সন্দেশখালি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘১৯ টি জায়গা ছাড়া কোথায় কোথায় যাওয়ার যাবে না জানাক। শাহজাহান কি তাজমহল বানিয়েছেন সেটা দেখবো। আমরা দরকার পড়লে সরবেড়িয়া যাব। ওখানে তো ১৪৪ নেই। লাঠিতে তেল লাগান হচ্ছে। শাহজাহান, মেহেদী হাসান, আরাবুল এদের জন্যে।’
বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে সকাল থেকে ছিল টান টান উত্তেজনা। সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার রাতেই সেখানে এক হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সহ বিজেপি নেতারা। তার পরই হোটেলটি চার দিক থেকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। সোমবার সকালে বিজেপি নেতারা হোটেল থেকে বেরনোর চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। এর পর পিছনের গেট দিয়ে বেরিয়ে ইছামতীর পাড়ে সরস্বতী পুজো করেন সুকান্ত মজুমদার।
পুজো শেষে গাড়িতে উঠে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এর পর পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে আধিকারিকদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত। তখন তাঁকে টেনে নামানোর চেষ্টা করেন এক পুলিশকর্মী। চলতে শুরু করে পুলিশের গাড়িটি। সেই সময় বনেট থেকে পড়ে জ্ঞান হারান সুকান্ত।