যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে পড়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন স্নাতকের ওই পড়ুয়া। কিন্তু আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ওই পড়ুয়ার মৃত্য়ু হয়। ওই পড়ুয়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের ‘এ ব্লক’ থেকে মাটিতে পড়ে যান বলে খবর। তবে তিনি পড়ে যান, নাকি ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। নদিয়া জেলার ছাত্রটি এখানে এসে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এদিকে চলতি বছরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা প্রথম বর্ষে ভর্তি হন এই পড়ুয়া। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, বুধবার বাংলা প্রথম বর্ষের প্রথম দিনের ক্লাসে অনুপস্থিত ছিল ওই ছাত্র। তারপর মাঝরাতে হস্টেলের আবাসিকরা ভারী কিছু পড়ার শব্দ শুনতে পান। তখন ছুটে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, হস্টেলের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন ওই পড়ুয়া। তখন তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়কে।
পুলিশ ঠিক কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই ছাত্রের নাম স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। ওই ছাত্রের বাড়ি নদিয়ার বগুলায়। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বাংলা নিয়ে স্নাতক স্তরে স্বপ্নদীপ ভর্তি হয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বুধবারই সেখানে ছিল তাঁর প্রথম ক্লাস। কিন্তু সেই ক্লাসে অনুপস্থিত ছিলেন ওই পড়ুয়া। রাতে এই ঘটনা ঘটে। তা নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তবে কীভাবে মৃত্যু হল? সেটা খতিয়ে দেখছে যাদবপুর থানার পুলিশ। মাত্র দু’দিন আগে ওই পড়ুয়া হস্টেলে এসেছিলেন। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আপাতত এখন সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জয়ী নির্দলদের নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান কী? ‘বিবেকের টান’ বোঝালেন কুণাল
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনার পর সেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য পড়ুয়ারাও। আর হস্টেলের আবাসিকরা গিয়েছিলেন বেসরকারি হাসপাতালেও। এই ঘটনাকে ঘিরে এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ওই ছাত্র কি আত্মহত্যা করেছেন? নাকি তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে? তিনি কি ব়্যাগিংয়ের শিকার? এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যার উত্তর খুঁজছে পুলিশও। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ এমন ঘটনা ঘটায় পুলিশের একটা খটকা লাগছে। কারণ যখন একজন ছাত্রের ঘুমিয়ে পড়ার কথা বা পড়াশোনা করার কথা তখন এমন ঘটনার নেপথ্যে নিশ্চয়ই কোনও কারণ আছে।