এবার ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সরব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সোমবার তারা অরবিন্দ ভবনেও অভিযান করে। অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করার দাবিতে সরব তাঁরা। অরবিন্দ ভবন অভিযানে শামিল হন পড়ুয়ারা। তারা ডেপুটেশনও দেন। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, আগামী দিনে আলোচনার মাধ্যমে তারা সমস্যা মেটাতে চান। হঠকারী কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে সমস্যা বেড়ে যাক এটা তারা একেবারেই চাইছেন না। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসার দাবিও তারা জানিয়েছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য সংসদ নির্বাচনের পক্ষে রয়েছেন। তারাও চাইছেন ভোট হোক। এনিয়ে সরকারের কাছে তারা আবেদনও করেছেন। প্রস্তাবও পাঠিয়েছেন। কিন্তু কোনও সবুজ সংকেত মেলেনি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, কর্মসমিতির বৈঠকে ভোটের পক্ষেও সায় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভোট কবে হবে এটা নিশ্চিত নয়। কারণ গোটাটাই নির্ভর করছে সরকারের উপর। কিন্তু সরকারের তরফে কোনও সবুজ সংকেত মেলেনি এখনও।
এদিকে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সহ উপাচার্যের দাবি, ভোট কবে হবে সেটা সরকার ঠিক করবে। ছাত্ররা জানতে এসেছিল ভোট কবে হবে। তবে গত ৯ তারিখ সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে তার কোনও উত্তর আসেনি। কবে নির্বাচন হবে সেটা সরকার ঠিক করে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে থাকে না।
এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেও আমাদের আপত্তি নেই। ছাত্ররাও সেটা চাইছে। এটাও আমরা সরকারকে জানিয়ে দেব।
এদিকে সম্প্রতি ছাত্র ভোট প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে। এটা নিয়ে আলোচনার জন্য় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছিলেন এনিয়ে তিনি শীঘ্রই জানাতে পারবেন।
এদিকে শুধু যাদবপুরে নয়, একাধিক কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভোট নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই। কেউ ভোটের কথা কিছু বলতে পারছেন না। এনিয়ে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভের পারদ চড়ছে। কিন্তু ভোটের দিন ঘোষণা হচ্ছে না।
তবে বিরোধীদের দাবি. আসলে ভোটে যেতে ভয় পাচ্ছে সরকার। সেকারণে ভোটের দিন ঘোষণা করা হচ্ছে না। বার বার ভোটের জন্য় দাবি তোলা হচ্ছে। কিন্তু ভোটের দিন কিছুতেই ঘোষণা করা হচ্ছে না। প্রশ্ন উঠেছে তবে কি টিএমসিপির মধ্যে দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিতে পারে সেই আশঙ্কাতেও কি ভোটের দিন ঘোষণা করা হচ্ছে না?