জেএমবি জঙ্গি লিঙ্কম্যান তদন্তে নয়া মোড়। বারাসত থেকে গ্রেফতার করার পর লালু সেন ওরফে রাহুল কুমারকে জেরা করা হয়। তার দেওয়া সূত্র ধরেই ফরিদাবাদ ও বিশাখাপত্তনমের অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। আর হদিশ মেলে কুড়িটিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দাদের। এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরেই লালু সেনের টাকা লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করতে চান তাঁরা। এই অ্যাকাউন্ট থেকে কোথায় কোথায় তথ্য গিয়েছে তা জানতেই তৎপর গোয়েন্দারা।
পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স সূত্রে খবর, এই অ্যাকাউন্টগুলি কেন খোলা হয়েছিল? এখান থেকে কোথায় কোথায় টাকা গিয়েছিল? কারা সেই টাকা পেয়েছিল? এবং কোন কোন অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল? তার খোঁজ করা প্রয়োজন। এখান থেকে জঙ্গিদের টাকা পাঠানো হয়েছিল বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। লালুকে জেরা করেই এতগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানতে পারেন গোয়েন্দারা।
জেএমবি জঙ্গিদের লিঙ্কম্যান হিসেবে সে কাজ করত। এই অভিযোগেই বারাসত থেকে লালুকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় দু’টো ল্যাপটপ, একটি আইপ্যাড, দু’টো মোবাইল–সহ নথিও। গত রবিবার হরিদেবপুর থেকে জেএমবি-র তিন সদস্য নাজিউর রহমান পাভেল, মিখাইল খান ওরফে শেখ সাব্বির এবং রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। তাদের জেরা করেই লালুর নাম উঠে আসে।