পরীক্ষা না দিয়েই পাওয়া যাবে চাকরি। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩৭ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। প্রকাশ বসু ও সায়ন্তন দাস নামে ওই ২ যুবকের নামে অভিযোগ করেছিলেন শহরেরই বাসিন্দা ২ তরুণী। ঘটনার পিছনে যে মূল মাথা রয়েছে তাকে ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি শহরের বাসিন্দা ২ বোন জোড়াবাগান থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশকে তাঁরা জানান, প্রকাশ বসু নামে ওই যুবক তাঁদের বন্ধু। কয়েক মাস আগে তরুণীদের বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগদান করতে গিয়ে প্রকাশ জানতে পারেন তাঁরা সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেজন্য একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন তাঁরা। একথা শুনে প্রকাশ তাঁদের বলেন, এত কষ্ট করার কোনও দরকার নেই। নবান্নে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে তাঁর ভালো পরিচিত রয়েছে। টাকা দিলেই পরীক্ষা না দিয়েও সেখানে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ পাওয়া যাবে। প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান ২ বোন। এর পর তাঁদের সঙ্গে ফোনে সায়ন্তন দাসের পরিচয় করিয়ে দেয় প্রকাশ। সায়ন্তন তাদের কাছে বায়োডাটাসহ অন্যান্য নথি চায়। সঙ্গে ধাপে ধাপে তাদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আদায় করে।
গত সেপ্টেম্বরে ২ বোনকে নগরোন্নয়ন দফতরের হলোগ্রামসহ ২টি নিয়োগপত্র দেয় সায়ন্তন। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে নবান্নে চাকরিতে যোগদান করতে গিয়ে তারা জানতে পারে সেগুলি জাল। বিষয়টি প্রকাশকে জানালে টাকা ফেরত দিতে বেশ কয়েকটি চেক অভিযোগকারিনীদের দেয় অভিযুক্তরা। কিন্তু সবকটি চেকই বাউন্স করে।
এর পর জোড়াবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ২ বোন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকাশ ও সায়ন্তনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা রীতিমতো পেশাদারিভাবে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কী করে তারা সরকারি হলোগ্রামসহ জাল নথি বানাল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।