যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ৩ অভিযুক্তকে ফের পুলিশ হেফাজতে পাঠাল আদালত। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। এদের মধ্যে মনতোষ ঘোষকে ২৫ অগাস্ট, সৌরভ চৌধুরী ও দীপশেখর দত্তকে ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন আদালতে সরকারি আইনজীবী বলেন, কেউ পরীক্ষায় ভালো ফল করলে আইন তাঁকে খুন করার অধিকার দেয় না।
মঙ্গলবার ধৃত সৌরভ, দীপশেখর ও মনতোষকে আদালতে পেশ করা হলে পুলিশ তাদের ফের হেফাজতে নিতে আবেদন করে। আবেদনের বিরোধিতা করে সৌরভের আইনজীবী বলেন, ওর কাছ থেকে আর জানার কী বাকি আছে? এতদিনে পুলিশ যা জানার সব জেনে নিয়েছে। মনতোষের আইনজীবী দাবি করেন, আমার মক্কেলের নাম FIR-এ নেই। নিহত ছাত্রকে হস্টেলে থাকতে দিয়ে কি ও অপরাধ করে ফেলেছে? এদিন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা তাদের মক্কেলদের কাউন্সেলিং করানো দরকার বলে আদালতে দাবি জানান। যদিও সেই দাবিতে কর্ণপাত করেননি বিচারক।
জবাবে সরকারি আইনজীবী বলেন, কেউ পরীক্ষায় ভালো ফল করলে আইন তাঁকে খুন করার অধিকার দেয় না। ওই ছাত্রকে খুন করা হয়েছে। যা বিরলতম। শুধু তাই নয়, খুনের পর এরা নিজেদের বাঁচাতে নানা ষড়যন্ত্র করেছে। রীতিমতো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে ষড়যন্ত্র করেছে তারা। যারা তাদের থেকে বয়সে ছোট ছাত্রদের উলঙ্গ করে ঘোরায়। উলটো করে শুয়ে থাকতে বাধ্য করে তাদের আবার কাউন্সেলিং। ওদের ফের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হোক। ওদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ। তাতে আরও অনেক কথা বেরিয়ে আসবে। মনতোষের ডায়েরিতে লেখা রয়েছে কী ভাবে ব়্যাগিং করেছে তারা। কার কার সঙ্গে এই কাণ্ড তারা ঘটিয়েছে সেসবও জানা দরকার। এর পরই ধৃতদের ফের পুলিশ হেফাজতে পাঠান বিচারক।