ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে একে একে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ১২ জন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের সিনিয়র আবাসিকদের বিরুদ্ধে উঠল তোলাবাজির অভিযোগ। তদন্তকারীরা জেরায় জানতে পেরেছেন, হস্টেলে নবাগত ছাত্রদের কাছ থেকে ডিজিটাল কায়দায় চলত তোলাবাজি। সিনিয়রদের খাবার ও মদের টাকা অনলাইনে মেটাতে বাধ্য করা হত প্রথম বর্ষের নবাগতদের। অভিযোগ শুনে হতবাক নিহত ছাত্রের বাবাও।
তদন্তকারীরা ধৃতদের জেরা করে জানতে পেরেছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের থেকে তোলাবাজি করতেন সিনিয়ররা। সৌরভ চৌধুরীর নেতৃত্বে চলত এই তোলাবাজি চক্র। তদন্তকারীদের দাবি, নতুন ছাত্ররা হস্টেলে এলে কার কেমন আর্থিক সামর্থ তা আগে বুঝে নেওয়া হত। তার পর বিভিন্ন সময় অনলাইনে অর্ডার করা খাবার বা মদের দাম মেটাতে বাধ্য করা হত তাদের। এভাবেই প্রথম বর্ষের ছাত্রদের টাকায় মোচ্ছব করতেন সিনিয়ররা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কোন কোন ছাত্রের থেকে মোটা টাকা আদায় করা যাবে তা আগে থেকে তালিকা করে রাখতেন সৌরভ চৌধুরীরা। দরকার হলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মতো ব্যবহার করা হত তাঁদের। এমনকী হস্টেলে থেকে বাড়িতে টাকা পাঠাতেন প্রাক্তনীরা। হস্টেলকে রীতিমতো টাকা রোজগারের পথ বানিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা।
একথা শুনে হতবাক নদিয়ার নিহত ছাত্রের বাবা। তাঁর প্রশ্ন, একদিকে যখন হস্টেলে থাকতে না পেরে যাদবপুরে পড়ার স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হচ্ছে অনেক ছাত্রকে তখন কী করে হস্টেলের ঘর দখল করে রাখেন প্রাক্তনীরা? এর কিছুই কি জানত না কর্তৃপক্ষ? না কি সব জেনেও চুপ করে ছিল তারা?