ব়্যাগিং রুখতে পালন করা হয়নি UGC-র বিধিনিয়ম। এই অভিযোগে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে শো-কজ করল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। একই দিনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও রাজ্য সরকারের কাছে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় জবাবদিহি চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সব মিলিয়ে আরও চাপে যাদবপুর কর্তৃপক্ষ।
রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং রুখতে UGC-র নির্দেশিকা মেনে CCTV ক্যামেরা লাগানো হয়নি। এমনকী ব়্যাগিংয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যার জেরে ক্রমশ নির্যাতনকারী ছাত্রদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে বলে মনে করছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে জানাতে বলেছে কমিশন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে প্রথমবর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে রাজ্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও।
গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের A2 ব্লকের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের ছাত্রের। সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। এর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। UGC-র নির্দেশ না মানার অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। কেন UGC-র নির্দেশিকা অগ্রাহ্য করে অন্যান্য বর্ষের ছাত্রদের সঙ্গে প্রথমবর্ষের ছাত্রদের একসঙ্গে রাখা হল? কেন হস্টেলে কোথাও কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই? কেন ঘটনার কথা জেনেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার তৎপরতা দেখাল না কর্তৃপক্ষ? এখনো গ্রহণযোগ্য কোনও জবাব দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়।