দেশজুড়ে এখন রামমন্দির নিয়ে প্রচার শুরু হয়েছে। নতুন বছরেই সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গিয়ে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করবেন। আবার আজ, শনিবার তিনি দেশের মানুষের উদ্দেশে বলেছেন, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরে ভিড় না বাড়িয়ে অকাল দীপাবলি পালন করুন। এমন আবহে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মুকেশ আম্বানি ঘোষণা করেন, কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের ভার এখন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের হাতে। রাজ্য সরকার শুরু থেকেই মাতৃ মন্দিরের সংস্কারের কাজ শুরু করেছিল। দক্ষিণেশ্বরের মতো এখানেও স্কাইওয়াক তৈরি হচ্ছে। এবার শোনা গেল, কালীঘাট মন্দিরের চূড়া এবার মুড়ে ফেলা হবে খাঁটি ৫০ কেজি সোনা দিয়ে। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, রামমন্দিরের পাল্টা কি পীঠস্থান?
এদিকে রামমন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে জোরদার প্রচার শুরু হয়েছে। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন চলার সময়ও রামমন্দিরকে তুরুপের তাস করা হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই রামমন্দিরকে রাজনৈতিকভাবে ইস্যু করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অযোধ্যায় ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। আগামী ২২ জানুয়ারি প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে রামলালার। আর এবার পাল্লা দিয়ে সেজে উঠতে চলেছে কলকাতার প্রখ্যাত এই সতীপীঠ। গর্ভগৃহ থেকে শুরু করে ভোগের ঘর, নাট মন্দির, মূল মন্দির, বলির জায়গা পর্যন্ত সংস্কার করে তোলা হবে। সংস্কার করা হবে গোটা চত্বরেরই। আর মন্দিরের চূড়া মুড়ে ফেলা হবে সোনা দিয়ে।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের দায়িত্ব তুলে দেন আম্বানিদের হাতে। তখন থেকেই সেই দায়িত্ব পালন করছে রিলায়েন্স। তবে আগে এই মাতৃ মন্দিরের সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুরসভার উপর। কিন্তু করোনাভাইরাসের জেরে সেই কাজ থমকে যায়। এই কাজ দেড় বছরের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। তাতে উষ্মাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রীও। স্কাইওয়াক এবং মন্দিরের প্রবেশপথ চওড়া করার জন্য দোকানিদের উচ্ছেদ করা হয়। এবার কাজ হচ্ছে জোরকদমে।
আরও পড়ুন: ‘একটা থাপ্পড় মারলে পাল্টা ১০টি মারতে হবে’, বিজেপির উদ্দেশে নিদান দিলেন উদয়ন
এখন দ্রতগতিতে মন্দির সংস্কারের কাজ হচ্ছে। এখন ৬০ শতাংশের বেশি কাজ হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজও খুব দ্রুত সেরে ফেলা হবে। সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। আর সেই কাজের মধ্যেই রয়েছে কালীঘাট মন্দিরের চূড়া ৫০ কেজি সোনা দিয়ে মুড়ে ফেলার বিষয়টি। কালীঘাট মন্দিরের খ্যাতির জন্যই এখানে সারা বছর পর্যটকদের ভিড় থাকে। অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের মতোই কালীঘাটের এই সতীপীঠ মানুষের কাছে বড় আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। তবে সোনায় মুড়ে ফেলার খবরের জেরে এখানে ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।