এখন রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গি দাপট দেখাচ্ছে। তার জেরে মানুষজনের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মৃত্যুও হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভা সব জায়গায় সচেতনতা প্রচার করতে শুরু করেছে। খোদ ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ রাস্তায় নেমে ডেঙ্গি ঠেকাতে প্রচার করছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, বিধাননগর রোড স্টেশন চত্বরে জমে আছে বিপুল পরিমাণ জঞ্জাল। এই জঞ্জাল পড়ে থাকলেও কোনও হেলদোল দেখায়নি বিধাননগর রোড স্টেশন। আর তাই এখানের স্টেশন মাস্টারকে এবার নোটিশ ধরিয়ে দিল কলকাতা পুরসভা।
এদিকে এই আবর্জনা, জঞ্জাল এবং জমা জল রাখতে নিষেধ করা হচ্ছে। তা নিয়ে চলছে প্রচারও। সেখানে দেখা যায়, ওই আবর্জনায় জমেছে জল। যার জেরে এডিস মশা জন্মানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এটাই চোখে পড়ে যায় কলকাতা পুরসভার কর্মীদের। তার জেরেই স্টেশন চত্বর খতিয়ে দেখে স্টেশন মাস্টারকে নোটিশ ধরিয়ে দিল কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগ। এদিন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা সেখানে গিয়ে গোটা বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। আর জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করেন। এমনকী স্টেশন চত্বরের আবর্জনাও সাফ করে কলকাতা পুরসভার সাফাইকর্মীরা।
ঠিক কী দেখা গিয়েছে? অন্যদিকে বিধাননগর রোড স্টেশনের নানা জায়গায় জমে রয়েছে আবর্জনা। প্ল্যাটফর্মের উপরেও স্তূপাকৃত হয়ে পড়ে রয়েছে জঞ্জাল। যা নিয়ে শিয়ালদার ডিআরএমকে চিঠি দেন এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু। আর তারপরই পদক্ষেপ করে কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগ স্টেশন ম্যানেজারকে নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ রেলের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এখন দেখার পাল্টা উত্তর কি আসে।
আরও পড়ুন: উল্টোডাঙা–গড়িয়াগামী বাসের ধাক্কায় মর্মান্তিক মৃত্যু প্রৌঢ়ের, গ্রেফতার চালক
ঠিক কী বলছে কলকাতা পুরসভা? এই ঘটনা নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে উঠেছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী যখন স্বচ্ছতা দিবস পালন করছেন তখন স্টেশনের এমন হাল সত্যিই সমালোচনার বিষয়। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ‘এটা দোষ চাপানোর সময় নয়। আমরা অনেকটা এলাকা সাফ করে দিয়েছি। বাকিটা স্টেশন কর্তৃপক্ষ করবে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিন পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নের জন্য সময় দেওয়া হবে। তার মধ্যে যদি স্টেশন কর্তৃপক্ষ জঞ্জাল সাফাই না করে, তাহলে কলকাতা পুরসভা বাকিটা পরিষ্কার করে রেলকে খরচের দাবি পাঠিয়ে দেবে। ওরা টাকা না মেটালে মিউনিসিপ্যাল কোর্টে মামলা হবে। করা হবে জরিমানাও।’