সবকিছুরই আইন আছে এবং আইনের ফাঁকফোকরও আছে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে সেচ দফতরের জমিতে ‘বাংলার বাড়ি’ নির্মাণ করতে আইনি জটিলতা দেখা গিয়েছে। তাই তপসিয়ার ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের মাথার ছাদ তৈরিতে আর্থিক সাহায্য করবে কলকাতা পুরসভা। বুধবার পুরভবনে স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী জাভেদ খানের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান তথা পুর এবং নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
গত ১০ নভেম্বর রাসায়নিক কারখানা থেকে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে যায় তপসিয়ার বিস্তীর্ণ ঝুপড়ি। দমকলের ২২টি ইঞ্জিন আগুন আয়ত্তে আনার পর রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য পুরমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে বুকে বল পান বাসিন্দারা। সেচ দফতরের জমিতে গড়ে ওঠা ওই ভস্মীভূত বস্তির ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে পাকা বাড়ি পুনর্বাসন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ফিরহাদ হাকিম।
কিন্তু সেচ দফতর থেকে আইনি সবুজ সংকেত না পাওয়ায় ওই প্রকল্প বাতিল করে দেয় পুরসভা। পুরমন্ত্রী জানান, ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ঘর তৈরি করে দিতে দেরি হচ্ছে, তাই পুরসভা আর্থিক সাহায্য করবে। তাতে ক্ষতিগ্রস্তরা নিজেরাই নিজেদের আশ্রয় তৈরি করে নিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, তপসিয়া অগ্নিকাণ্ডে ঝুপড়িতে থাকা ৩৫টি বড় ঘর থাকলেও অনেকগুলি পরিবার একসঙ্গে বসবাস করতেন। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা জাভেদ–পুত্র ফৈয়াজ খান বলেন, ‘১০৪টি পরিবার ওই ৩৫ টি ঘরে থাকতেন। পরিবারগুলি এতটাই হতদরিদ্র যে ওদের ত্রিপল কেনারও সামর্থ্যও নেই। তাই তাঁদেরকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসা হচ্ছে।’