জার্সি পড়ে হাতে ব্যাট নিয়ে মাঠে নামলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ক্রিজে স্ট্রাইক নিয়ে ব্যাট চালানোর চেষ্টা করলেন মেয়র। তবে উত্তরের হাতে হেরে গিয়ে মন খারাপ দক্ষিণ কলকাতার কাউন্সিলরদের। কলকাতা পুরসভার অধীনে মেয়রস ক্রিকেট কাপ শুরু হয়। যেখানে অংশগ্রহণ করেন সমস্ত কাউন্সিলররা। উত্তর থেকে দক্ষিণ সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিয়ে এদিন পাটুলি উপনগরী মাঠে মেয়রস কাপের ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা হয়। সেখানে হাজির ছিলেন কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ–সহ উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন ওয়ার্ডের পুরুষ এবং মহিলা কাউন্সিলররা।
এদিকে টানটান উত্তেজনায় শুরু হয় একদিনের প্রদর্শনী ক্রিকেট ম্যাচ। সারা বছর রাজনীতির কচকচানি থেকে বেরিয়ে একটু হালকা মেজাজে রইলেন রাজনীতিবিদ কাউন্সিলররা। তবে আজ, শনিবার ছিল একটা আলাদা আনন্দ ও উল্লাসের দিন। এই ক্রিকেট ম্যাচের মাধ্যমে ছোটবেলার স্মৃতিতে ফিরে গেলেন সমস্ত কাউন্সিলররা। তবে আজকে এমন আনন্দের দিনেও ক্রিকেট ম্যাচে গরহাজির ছিলেন বিরোধী দলের কাউন্সিলররা। তবে রাজনীতির পাশাপাশি খেলার মাঠেও প্রস্তুত থাকতে হয় বলে জানান কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়। তিনিও উপভোগ করলেন এই প্রদর্শনী ক্রিকেট ম্যাচের আনন্দ।
অন্যদিকে মেয়র ও চেয়ারম্যানকে এমন ফুরফুরে মেজাজে পেয়ে খুশি অন্যান্য কাউন্সিলররা। এদিন ছিল শুধু ক্রিকেটের গল্প। বহু বছর পর ব্যাট ধরলেও আনন্দে মেতে ওঠেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন মেয়র হাতে ফুল তুলে দিয়ে সংবর্ধনা জানান কলকাতা পুরসভার মুখ্য সচেতক তথা মেয়রস কাপের মূল আয়োজক ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। আজ মহিলা কাউন্সিলরদের মেয়রের সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা যায়। তবে সংবর্ধিত করা হয় চেয়ারপার্সন মালা রায় ও ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষকেও।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি মাসের প্রথমেই সাগরে মুখ্যমন্ত্রী, নতুন বছরে ‘পর্যবেক্ষণ সফর’ মমতার
এছাড়া কারও মন খারাপ আবার কারও জয়ের উল্লাস ছিল দেখার মতো। তবে মেয়রের বার্তা, ‘জয়–পরাজয় থাকবে। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার সমস্ত কাউন্সিলররা একসঙ্গে আছে। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মানুষকে সেবা প্রদান করতে একসঙ্গে মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন সবাই।’ তবে সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হতে দেখা যায় মহিলা কাউন্সিলরদের। হার জিতের ঊর্ধ্বে উঠে খুব মজা করলেন সমস্ত রাজনীতিক এবং কাউন্সিলররা। তবে উত্তরের কাছে দক্ষিণে হারের কিছুটা হলেও মন খারাপ হল দক্ষিণের। ডেপুটি মেয়রের কাছে মেয়রের দক্ষিণ কলকাতার কাউন্সিলরদের হেরে যাওয়ার মধ্যে আনন্দ উদ্দীপনার মধ্যে দিন কাটালেন সমস্ত কাউন্সিলররা। আর বিরোধী কাউন্সিলররা উপস্থিত না থাকায় সৌজন্যের অভাব বলে মনে করছেন অনেকে।