কলকাতা পুরসভাকে ৫০০ কোটি টাকা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা–সহ পরিবেশবান্ধব পরিকাঠামো নির্মাণ করার জন্য এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। তার সঙ্গে পুকুর সংরক্ষণ এবং বন্যা মোকাবিলায় উদ্যোগ নিতেও এই টাকা খরচ করা যাবে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় দেশের কয়েকটি বড় শহরের সঙ্গে কলকাতাতেও আর্থিক বরাদ্দ করেছে মোদী সরকার। পাঁচ বছর ধাপে ধাপে মিলবে এই টাকা বলে খবর। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে এক বৈঠকে কলকাতা পুরসভার প্রেসেন্টেশন কেন্দ্রীয় সরকারের আমলাদের পছন্দ হয়। তারপরই এই আর্থিক অনুদানে সিলমোহর পড়ে। যা এখন রাজ্যের কাছে বড় খবর।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, দুর্গাপুজোর পরই এই বিষয়ে পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে এই টাকায়। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের এই টাকা পেতে কয়েক মাস ধরে তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। গত সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার এবং নিকাশি বিভাগের ডিজি শান্তনু ঘোষ নয়াদিল্লিতে বৈঠকে যোগ দেন। কলকাতা ছাড়াও মুম্বই, দিল্লি, চেন্নাই, পুণে এবং হায়দরাবাদ পুরসভা ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিল। কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি, সবকটি পুরসভার মধ্যে কলকাতাই সবচেয়ে বড় অঙ্কের আর্থিক সাহায্য পেতে চলেছে।
এই টাকায় পরিকল্পনা অনুযায়ী, পামার বাজার, নর্দান পার্ক, বিবি ওয়ান ক্যানাল, ঋষিকেশ পার্ক, মিল্ক কলোনি, গুলশন কলোনি—ওই অঞ্চলে মোট ৬টি পাম্পিং স্টেশন তৈরি হবে। এছাড়া সন্তোষপুর পাম্পিং স্টেশনের আধুনিকরণ এবং সম্প্রসারণ হবে। আর শহরের নানা এলাকায় নতুন করে মোট ৩৪ কিলোমিটার খাল কাটবে কলকাতা পুরসভা। এখানের এক অফিসার বলেন, ‘এখন শহরের ভিতরে এবং চারপাশে মোট ২৭টি নিকাশি খাল রয়েছে। এছাড়া জোকা অঞ্চলে বহু পুরনো নিকাশি খাল মজে গিয়েছে। কোথাও আবার জবরদখল হয়ে গিয়েছে। এই খালগুলি পুনরুদ্ধার করা হবে।’ এই বিষয়ে পুরসভার কমিশনার বলেন, ‘পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকার জন্য প্রস্তাব এসেছিল। তখন সময়মতো আমরা প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করেছি ৬ মাস ধরে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: অসমের দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে অনুদান, ‘মমতা মডেল’ নকল করল দাবি তৃণমূলের
আর কী জানা যাচ্ছে? কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, আগামী পাঁচ বছরে ১০০ কোটি টাকা করে মোট ৫০০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। দুর্গাপুজোর পরই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি বেশ কিছু পুকুর খনন, দুর্যোগের আগাম সতর্কতা দেওয়ার জন্য পরিকাঠামো নির্মাণ, বৃষ্টির জল ধরে রাখার জন্য জলাধার তৈরির মতো কাজগুলি হবে এই টাকায়। বিপর্যয় মোকাবিলা প্রকল্পে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে।