বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Kolkata Waterlogging: জমা জল থেকে মুক্তি, কেন্দ্রের কাছে ৫০০ কোটি চাইছে পুরসভা, ফাটাফাটি পরিকল্পনা,কলকাতা হবে লন্ডন!

Kolkata Waterlogging: জমা জল থেকে মুক্তি, কেন্দ্রের কাছে ৫০০ কোটি চাইছে পুরসভা, ফাটাফাটি পরিকল্পনা,কলকাতা হবে লন্ডন!

কলকাতা জলমগ্ন। ফাইল ছবি (PTI)

এনিয়ে বিকল্প পথ ভাবছে পুরনিগম। যেখানে নিকাশির সমস্যা রয়েছে যেমন বাইপাস, বেহালা এলাকায় জমা জল বের করার জন্য যাতে পুকুর তৈরি করা যায় তার ভাবনাও হচ্ছে। কেএমসি চাইছে জল জমার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান।

কলকাতায় বৃষ্টি মানেই জলযন্ত্রণা। রাস্তায় বের হলেই এক হাঁটুজল। সেই নোংরা জল পেরিয়েই নিত্য যাতায়াত। প্রতিবারই এই জলযন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে নানা উদ্যোগের কথা জানায় কলকাতা পুরসভা। কিন্তু বাস্তবের ছবিটা কিছুতেই সেই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে মেলে না।

তবে এবার কলকাতাকে জলযন্ত্রণা থেকে রেহাই দিতে কলকাতা কর্পোরেশন একটা কম্প্রিহেনসিভ ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট স্কিম বানিয়েছে। আর সেই স্কিম লাগু করার জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে ৫০০ কোটি টাকা চাইল কর্পোরেশন।

অন্যদিকে ঝড় বা জল জমার আগে যাতে বাসিন্দাদের সতর্ক করা যায় সেকারণে ডিজাস্টার অ্যালার্ট সিস্টেম তৈরি করা হবে। এতে সাধারণ প্রশাসনের সুবিধা হবে অনেকটাই।

সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে কোন জায়গাগুলিতে জল জমে সেটা সবার আগে চিহ্নিত করার কাজ করা হবে। কেএমসির সংশ্লিষ্ট দফতর এনিয়ে রিপোর্ট তৈরি করছে। বেহালা, টালিগঞ্জ-যাবদপুর এলাকা, ইএম বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় জলযন্ত্রণা কমানোর বিষয়টি অত্য়ন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এই নয়া ব্যবস্থা আবহাওয়ার পূর্বাভাসের সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করা হবে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলে সেক্ষেত্রে আগাম সতর্ক করা হবে। কোনও দুর্যোগ হলে তার আগে ও তার পরে পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মূলত ভারী বৃষ্টি হলে কলকাতার নীচু জায়গাগুলিতে জল জমে যায়। ঠনঠনিয়া, বড়বাজার, পার্ক সার্কাস, বেহালা, গড়িয়া, এমজিরোড সহ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। নিকাশির সমস্য়ার জন্য সেই জল বের হতেও সময় লেগে যায়। কিছুক্ষেত্রে সেই জল আবার দিনের পর দিন ধরে বের হওয়ার সুযোগ পায় না। সেই নোংরা জলের উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। ড্রেন রাস্তা সব এক হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে নীচু জায়গায় জলমগ্ন হলে সেখানকার বাসিন্দাদের যাতে সরানো যায় তার পরিকাঠামো তৈরি করতে চাইছে পুরনিগম।

তবে এনিয়ে বিকল্প পথ ভাবছে পুরনিগম। যেখানে নিকাশির সমস্যা রয়েছে যেমন বাইপাস, বেহালা এলাকায় জমা জল বের করার জন্য যাতে পুকুর তৈরি করা যায় তার ভাবনাও হচ্ছে। কেএমসি চাইছে জল জমার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান।

অন্যদিকে রাস্তায় জল জমলে যাতে অন্য রাস্তা দিয়ে যানবাহনকে ঘুরিয়ে দেওয়া যায়, যাতে জলমগ্ন রাস্তার উপর দিয়ে যানবাহন না গিয়ে অন্য় বিকল্প রুটের ব্যবস্থা করা হয় সেব্যাপারেও নকশা তৈরি করা হচ্ছে। নয়া সিস্টেমকে সেভাবেই করা হচ্ছে।

 

বন্ধ করুন