একে ২০১১ থেকে প্রায় বন্ধ নিয়োগ। তার ওপর অস্থায়ী কর্মী নিয়োগে রয়েছে নানা জট। সব মিলিয়ে চরম কর্মীসংকটে ভুগছে কলকাতা পুরসভা। যার প্রভাব পড়ছে পুরসভার কাজেও। ওদিকে একাধিক দায়িত্ব সামলাতে নাজেহাল হচ্ছেন পুরসভার কর্মী ও আধিকারিকরা। কর্মী নিয়োগে রাজ্য সরকারের জটিল নীতিতে সমস্যার সমাধানেরও আশা দেখছেন না কেউ।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সাল থেকে পুরসভায় স্থায়ী কর্মী নিয়োগ প্রায় বন্ধ। কাজ চলছে অস্থায়ী কর্মী দিয়ে। কলকাতা পুরসভার ৪৮ হাজার পদের মধ্যে মাত্র ১৮ হাজার পদে স্থায়ী কর্মী রয়েছেন। বাকি পদ খালি পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। কর্মীসংকট মেটাতে ১৭ হাজার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করেছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু নতুন নিয়মে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগও প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওদিকে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন গুনতে গুনতে পুরসভার ভাঁড়ে মা ভবানী দশা।
পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, আগে পুরসভার বিভিন্ন দফতর নিজেরাই শূন্যপদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করতে পারত। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর প্রক্রিয়া এতটাই জটিল হয়ে গিয়েছে যে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে পুরসভার কাছে।
বর্তমানে শূন্যপদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের জন্য মেয়র পারিষদের বৈঠকে প্রস্তাব গ্রহণ করতে হয়। তার পর সেই প্রস্তাব পাঠানো হয় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে। সেখান থেকে প্রস্তাব যায় অর্থ দফতরে। অর্থ দফতর ছাড়পত্র দিলে তবে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। আর ২ বছরের বেশি সময় কোনও পদ খালি থাকলে সেই পদে কর্মী নিয়োগ করতে গেলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাব গ্রহণ করতে হয়। এখানেই শেষ নয়, অস্থায়ী কর্মী নিয়োগেও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে পুরসভার কর্মিবর্গ দফতরের অনুমতি।
পুরসভার আধিকারিকদের দাবি, অস্থায়ী কর্মীরা স্থায়ী কর্মীদের মতো দক্ষ নন। অথচ তাঁদের দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে। নতুন নিয়োগের জন্য প্রস্তাব পাঠালে চাহিদার ভগ্নাংশ মাত্র নিয়োগের অনুমতি মিলছে। তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার। তাঁর দাবি, ‘নিয়োগ তো হচ্ছে।’