আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ পুড়ল কেন্দ্রের কর্মিবর্গ প্রশাসনের। কলাইকুন্ডার ঘটনা নিয়ে তাঁকে বারবার নয়াদিল্লিতে ডেকে পাঠানো হচ্ছিল। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আর্জি জানান তিনি। বুধবার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই আর্জির ভিত্তিতে ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্নে জর্জরিত হন কেন্দ্রের আইনজীবী। তবে আজ মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ২ নভেম্বরের আগে মামলার রায়দান হবে বলে আজ জানিয়েছেন বিচারপতি।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এখন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা। কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছিল বলে যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে তা নিয়েই চলছে দড়ি টানাটানি। তাতে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্তে কেন্দ্রের কর্মিবর্গ প্রশাসনের এক্তিয়ারকে চ্যালেঞ্জ করে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের (ক্যাট) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই আর্জির শুনানি কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তরিত করে ক্যাট। সেটাকেই চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা।
আজ শুনানির শুরুতেই কেন্দ্রের আইনজীবীকে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বলেন, ‘ইয়াস পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এই রাজ্যে কেন্দ্রিক। তাহলে কেন সেই মামলার শুনানি নয়াদিল্লিতে পাঠানো হল? প্রকৃত ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।’ এই পর্যবেক্ষণেই চাপে পড়ে যান কেন্দ্রের আইনজীবী।
উল্লেখ্য, ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের পর এলাকা পরিদর্শনে এসে ২৮ মে কলাইকুণ্ডায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরির কাজে ব্যস্ত বলে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন আলাপন। তারপর কাগজ ধরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন। এই নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।