হাতে আর দু’দিন। তারপরই রাজ্যজুড়ে পালিত হবে ইদ–উল–ফিতর। কিন্তু এই উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুলিশ। একদিকে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা অন্যদিকে যাতে কোনও গণ্ডগোল না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতেই কড়া পদক্ষেপ করছে পুলিশ। তাই ইদ উপলক্ষ্যে শহরে থাকছে বাড়তি পুলিশ। হাওড়া ও রিষড়ায় যা ঘটেছিল তা যাতে আর না ঘটে সেজন্য এবার কড়া পদক্ষেপ করছে রাজ্য প্রশাসন। ইদের দিন কলকাতা শহরে নামানো হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার অতিরিক্ত পুলিশকে।
কেমন ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে? লালবাজার সূত্রে খবর, ইদের দিন শহরজুড়ে সাড়ে তিন হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে। ৩৪৬টি পুলিশ পিকেট থাকবে। তার সঙ্গে ৫৬টি মোটরসাইকেল প্যাট্রোলিং বাহিনী অলিগলিতে টহল দেবে। আবার থাকবে ১৮টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড (এইচআরএফএস)। শহরের ৬৭৮টি জায়গায় নামাজের অনুষ্ঠান হবে। তাই ওইদিন সাড়ে ৩ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে। সারাদিন আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করবেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসাররা। একইসঙ্গে রাখা হচ্ছে ৩৬টি মোটরবাইক পেট্রলিং টিম।
আর কী জানা যাচ্ছে? ইদের দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালাবে কলকাতা পুলিশের একটি বাহিনী। কারণ ২২ এপ্রিল, শনিবার ইদ। প্রত্যেক বছর রেড রোডে ইদের জন্য জমায়েত হন মানুষজন। এদিন ডেপুটি কমিশনার–সহ কলকাতা পুলিশের অন্য পদস্থ অফিসাররা নিজেদের এলাকায় নজরদারি চালাবেন। এমনকী থাকবে পিসিআর ভ্যান ও কিউআরটি। পার্ক সার্কাস, খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ, রেড রোড, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, চিৎপুর, ধর্মতলা–সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে পুলিশ। মহিলা পুলিশও থাকবে রাজপথে।
পুলিশের বক্তব্য ঠিক কী? পুলিশ সূত্রের খবর, সব থানাকে কড়া নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেন তৈরি না ঘটে সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ কর্তারা। এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) সন্তোষ পান্ডে বলেন, ‘ইদকে কেন্দ্র করে বিশেষ পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখার জন্য সাইবার বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোনওরকম উস্কানিমূলক পোস্ট হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ষোলআনা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন নবরূপে সজ্জিত ষোলআনা গেটের। আর বলেন, ‘কারুকার্য দেখে মনে হচ্ছে এর একটা ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে’। আর আগেই বলেছিলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।