রাজারহাটে পাঁচতারা রিসোর্টে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছে বিজেপি। তিন দিন ধরে চলা এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আজ শেষ দিন। তবে প্রশিক্ষণ শিবিরে হোর্ডিংয়ে ট্রেনি সভাপত হিসেবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি থাকলেও ছবি নেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের। আর সেই সঙ্গে এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণ করেননি বিজেপির একাধিক সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস।
এখনও পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ শিবিরে দেখা যায়নি কোচবিহারের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, বনগাঁর সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে। এছাড়াও আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা, বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ এস এস অহলুওয়ালিয়া এবং ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত হননি। যারফলে অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপির অন্দরে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন এই সমস্ত নেতারা উপস্থিত হতে পারেননি? তার কারণ জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এ নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এনিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, ‘বিজেপির বুথ কমিটির সঙ্গে গরুর গাড়ির হেডলাইটের কোনই পার্থক্য নেই।’ এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষের হয়ে কথা বলতে শোনা যায় কুণালকে।তিনি বলেন, ‘পোস্টারে দিলীপবাবুর ছবি নেই। অথচ ট্রেনি সভাপতি হিসেবে দলবদলু নেতার নাম রয়েছে। এটা অপমানজনক।’
এর উত্তরে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের প্রশিক্ষণ শিবির কীভাবে চলবে বা কারা আসবেন তা দেখার দায়িত্ব আমাদের। তিনজন মন্ত্রী সরকারি কাজের জন্য উপস্থিত থাকতে পারেননি। প্রশিক্ষণ শিবিরে যে তারা থাকতে পারবেন না তা আগেই তারা জানিয়েছিলেন।’ বিজেপি সূত্রের খবর, প্রশিক্ষণ মূলত বিজেপি নেতাদের দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে বলা হচ্ছে। আজ বুধবার প্রশিক্ষণ শিবিরের শেষ দিনে বিজেপির সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্ব ভারতীয় সম্পাদক বি এল সন্তোষ উপস্থিত থাকতে পারেন। বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে কুণালের কটাক্ষ, ‘কিসের প্রশিক্ষণ হচ্ছে? সাঁতার কাটা নাকি স্পা করার প্রশিক্ষণ?’