তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কার্যত বিজেপি বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আমন্ত্রণে সাড়া দিলেন কুণাল ঘোষ। সোমবার সন্ধ্য়ায় তিনি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান। সেখানে ছবিতে দেখা যায় একেবারে সবুজ পাঞ্জাবি পরে বসে রয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। টেবিলে সাজানো চা। একটু দূরে বসে রয়েছেন নয়না বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
এদিকে এই ছবি দেখে চমকে উঠেছেন অনেকেই। দিন কয়েক আগেই এই সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে কার্যত বিজেপি বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। এমনকী তাঁর গ্রেফতারির দাবিও তুলেছিলেন। আর সেই সুদীপের ফোন পেয়েই প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে চা চক্রে হাজির হলেন কুণাল ঘোষ। তবে ইতিমধ্য়েই কুণাল ঘোষ তৃণমূলের মুখপাত্র থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এমনকী তাঁকে দল শোকজ করেছে বলেও খবর। প্রকাশ্য়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন কুণাল ঘোষ। আর তাঁর বাড়িতেই জমিয়ে চা খেলেন কুণাল ঘোষ।
এদিকে সেখানে যাওয়ার আগেই কুণাল সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, 'সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় জানিয়েছে, আমাকে বৈঠকে যে ডাকা হয়নি তা অনিচ্ছাকৃত ভুল। সুদীপদা আমায় ফোন করেছেন। আমি খুশি। সুদীপদা সৌজন্য দেখিয়েছেন। আমিও সৌজন্য দেখিয়ে যাব। সুদীপদার বিরুদ্ধে মহিলা প্রার্থীর কথা বলেছিলাম। এখন সে সব বলছি না। এটা অসৌজন্য। '
এর আগে শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লিখেছিলেন, ‘অ্যাপলো, ভুবনেশ্বরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থাকার সময় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও লেনদেনের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। জেল হেফাজতে থাকাকালীন অ্যাপলোতে ভর্তির সময় বড় অঙ্কের টাকা দিতে হয়। সেই টাকা তিনি দিয়েছিলেন নাকি তার হয়ে কেউ দিয়েছিল তার তদন্ত করা হোক। যদি গরমিল পাওয়া যায় তাহলে তা কয়লা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। তাই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবার গ্রেফতার করা উচিত। যদি এজেন্সি সেটা করতে না চায় তাহলে তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হব।’
এমনকী তিনি বলেছিলেন, ‘উত্তর কলকাতায় সুদীপদা একটা বড় সাইজের শাহাজাহান। সব ফুল রেখে চলে। বিজেপির দালাল। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে রোজভ্যালি কেস থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে মোদী সরকার।’
সুদীপদা চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পার্টিটা এক। ঐক্যবদ্ধ। পরিবারে কিছু বিষয় আছে। সেখানে সুদীপদার সঙ্গে কথা বলব। সিনিয়র লিডার, সুদীপদার সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। চা চক্রে যাওয়ার পথে সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ।
বেরিয়ে কুণাল বলেন, নারু ছিল খেয়েছি। চা খেয়েছি।