সদ্য রাজ্য বাজেটে বেড়ে গিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আর্থিক অনুদান। এই বৃদ্ধির কথা এখন জেনে গিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু বাড়তি টাকা মিলবে কবে? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এপ্রিল মাস থেকে মিলবে। তবে এবার শহর থেকে গ্রামবাংলায় এই প্রচার শুরু করা হবে। প্রত্যেক পাড়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে কতটা বাড়ল টাকা এবং সেটা কোন মাস থেকে মিলবে। সামনে লোকসভা নির্বাচন। যদিও এখনও নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সুতরাং এই প্রচার করতে কোনও বাধা নেই। আর সেটাই করবে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে এই বর্ধিত টাকার অঙ্ক ঘোষণা করার পরই চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্য বিজেপির নেতারা। তার উপর এই প্রচার সারা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়লে স্নায়ুর চাপ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই প্রচার করার জন্য তৈরি হয়েছে একটি অডিয়ো ক্লিপ। যা রাজ্যের সর্বত্র প্রচার করা হবে। এই প্রচার করার কাজে লাগানো হবে টোটো এবং অটো। এই যানবাহন দুটি করেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বিস্তারিত তথ্য প্রচার করা হবে। এই বার্তা দলের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে সব জেলায়। এমনকী এবারের রাজ্য বাজেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি ফ্লেক্স এবং হোর্ডিং দিয়ে গড়ে তুলে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বাংলার মহিলারা এই প্রকল্পে সরাসরি টাকা পেয়ে থাকেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের হাত–খরচ দেন। যা পেয়ে বহু মহিলা উপকৃত। ভোটব্যাঙ্কেও তার প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারের হাতিয়ার হতে চলেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। রাজ্য বাজেটে এটা বড় পদক্ষেপ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে এই প্রকল্পে ৫০০ টাকা মিলত সাধারণ মহিলাদের। সেটা বেড়ে হয়েছে ১০০০ টাকা। এখন থেকে মহিলারা প্রত্যেক মাসে ১০০০ টাকা পাবেন। আর এসসি ও এসটি মহিলারা পাবেন ১২০০ টাকা হারে। তাঁদেরও বাড়ল ২০০ টাকা। এই গোটা বিষয়টি—অটো, টোটো, ভ্যান, রিকশর মতো ছোট যানবাহন ব্যবহার করে অলিগলি পর্যন্ত সবার দুয়ারে বার্তাটি পৌঁছে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: হীরের ব্যবসায়ীকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে বিজেপি, রামমন্দির নির্মাণে ১১ কোটি দান!
এছাড়া প্রচারের জন্য ফ্লেক্স এবং হোর্ডিং তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তাতে থাকবে ১০০ দিনের কাজে যুক্ত বাংলার ২১ লক্ষ শ্রমিকের বকেয়া মজুরি মেটাল রাজ্য সরকার। থাকবে কর্মশ্রী প্রকল্পের কথা। আবাস যোজনা প্রকল্পে কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা তুলে ধরা হবে। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, কেন্দ্র টাকা না দিলে ধাপে ধাপে বাংলার মানুষের মাথায় ছাদও তৈরি করে দেবেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিমা, ছাত্রছাত্রীদের উন্নয়ন, মিড ডে মিলের রাঁধুনি–সহায়কদের ভাতা, সিভিক পুলিশদের অর্থ বৃদ্ধি এবং কৃষক ও শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা প্রচারে থাকছে। এমনকী ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান তৈরির বিষয়ও প্রচারে তুলবে তৃণমূল কংগ্রেস।