রাস্তায় নেমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হয় ট্রাফিক পুলিশকে। যান নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। অতীতে এরকম অনেক ঘটনায় ঘটেছে। তাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে ডিউটির সময় ট্রাফিক পুলিশকর্মীদের আরও নিরাপত্তার জন্য হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করল লালবাজার। প্রত্যেক ট্রাফিক পুলিশ কর্মীকে হেলমেট পরে ডিউটি করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। এই নির্দেশ মানা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে পুলিশকর্তাদের।
আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনা রুখতে শহরের বাস, ট্রাকের সামনে আয়না বসানোর সিদ্ধান্ত কলকাতা পুলিশের
প্রসঙ্গত, ডিউটির সময় অনেক ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় ট্রাফিক পুলিশকে। কিছুদিন আগে আকাশবাণী ভবনের কাছে ডিউটির সময় বাসের ধাক্কায় জখম হয়েছিলেন এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। জানা যায়, তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল না। সাধারণত রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হয় ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল থেকে শুরু করে ওসি, অতিরিক্ত ওসি, সার্জেন্টদের। তবে অনেক ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে হেলমেট না পরার অভিযোগ ওঠে। সে ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবলরা হেলমেট পরলেও সার্জেন্টরা বা ওসিরা হেলমেট ব্যবহার করেন না বলে অভিযোগ ওঠে। লালবাজারে নির্দেশের ফলে স্বাভাবিকভাবেই এবার থেকে সকলকেই হেলমেট পরতে হবে। যদিও এই নির্দেশ কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের কর্মীদের অনেকেরই বক্তব্য, হেলমেট পরে টানা ডিউটি করা সম্ভব হয় না। কারণ ভারী হেলমেট থাকায় সেক্ষেত্রে মাঝেমধ্যেই হেলমেট খুলে ফেলতে হয়। ফলে আদৌও এই নির্দেশ কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে, শুধু ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল ও অফিসারদেরই হেলমেট পরার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ট্রাফিকের দায়িত্ব সামলানোর কাজে নিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং হোম গার্ডদেরও হেলমেট পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার কলকাতা পুলিশের তরফে সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং হোমগার্ডদের হাতে হেলমেট তুলে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, কর্মীর অভাব রয়েছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশে। এই অবস্থায় সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং হোমগার্ডরাই পুলিশের ভরসা। উল্লেখ্য, পুলিশ কর্মীদের নিরাপত্তায় বরাবরই তৎপর কলকাতা পুলিশ। সেক্ষেত্রে এর আগে কলকাতা পুলিশের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। এর আগে ট্রাফিক পুলিশদের জন্য অত্যাধুনিক ছাতার ব্যবস্থা করেছিল লালবাজার। এছাড়াও পুলিশ কর্মীদের নিরাপত্তা জন্য অত্যাধুনিক হেলমেট নিয়ে আসছে লালবাজার।