শাসকদলের দুর্নীতির তদন্তের ব্যর্থ ইডি-সিবিআই, এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে সভা করল বামেরা। এদিন উল্টোডাঙার হিডকো মোড় থেকে মিছিল করে ইডি-সিবিআই অফিসের সামনে যায় বাম কর্মী সমর্থকরা। সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিম-সহ অন্যান্য নেতারা।
ইডি-সিবিআই অফিসের থেকে কিছুটা দূরে তৈরি হয়েছিল এই মঞ্চে বক্তব্য রাখেন সেলিম-সুজন ছাড়াও সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ সিপিএমের অন্যান্য নেতারা। অশান্তি এড়াতে এলাকায় ব্যাপক পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। সভায় ইডি-সিবিআই-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
সভার আগে মিছিল চলাকালীন সুজন চক্রবর্তী বলেন,'কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দালালি করছে। কোর্টের নির্দেশ সত্বেও ওরা পিসি-ভাইপোর দালালি করছে। বিজেপির-র নির্দেশেই ওরা পিসি-ভাইপোর দালালি করছে। ইডি-সিবিআই যে অপদার্থ তা ওরা প্রমাণ করেছে। ওদের জবাব দিতে আমরা এখানে জমায়েত হয়েছি।'
ভাষণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস এন্ড বাউন্স প্রসঙ্গে বলেন,'আমাদের নেতারা ২০১৩ সালে এই সংস্থার কথা বলেছেন। ওই সংস্থায় কালো টাকা সাদা করা হতো।'
(পড়তে পারেন। ‘দেখা না করা পর্যন্ত এখানেই থাকব’, রাজভবনের দুয়ারে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের)
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন,' চোরেদের শাস্তি দিতে হবে। ইডি-সিবিআই তো কালীঘাটের ঠিকানাই খুঁজে পেল না। হাইকোর্ট বলার পরও অভিষেকের ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছে না। এরাই তো ভবিষ্যতের শুভেন্দু। তাই এদের বাঁচাচ্ছে। ইডি-সিবিআই। আমরা নাড়া দিতে এসেছি।'
কেন্ত্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আগামী দিনে সক্রিয় না হলে এর পর একটি চার্জশিট আনবেন, হুঁশিয়ারি দেন বাম নেতৃত্ব।
দিল্লিতে তৃণমূলের কর্মসূচি প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, দিল্লি গিয়ে নাটক করছেন অভিষেকরা, সেটা সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে। ১০ লক্ষ বলে ২০০০ লোকও নিয়ে যেতে পারেনি। যেহেতু নাটকটা ধরা পড়ে গিয়েছে তাই নতুন নাটক করার জন্য রাজভবন গিয়েছে।