রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। যে আসনে আগামী ৯ অগস্ট নির্বাচন হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই আসনে প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও, অবসরপ্রাপ্ত আমলা জহর সরকারকে প্রার্থী করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, তাঁরাও এই আসনে প্রার্থী দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কিন্তু রাজ্যসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী দেবে না বিজেপি বলে বুধবার জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বুধবার শুভেন্দু অধিকারী জানান, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে অনেকটা ফারাক রয়েছে। এখানে বিজেপির শক্তি কম। তাই রাজ্যসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী দেবে না বিজেপি। আজই বিধানসভায় রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জহর সরকার। তারপরই জহরবাবু বলেন, ‘যা চলছে তা দেখে চুপ করে থাকা যায় না। ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর আঘাত নেমে এসেছে। রাজনীতি আগে কখনও করিনি। তবে নোট বাতিল এবং জিএসটির বিরোধিতা করেছি। এবার একটি মঞ্চে বলার সুযোগ পাব। ১৬ বছর নয়াদিল্লিতে কাজ করেছি। এই রাজ্যের কথা যেভাবে নয়াদিল্লিতে বলা দরকার, তেমন গভীরে গিয়ে আলোচনা হয় না। সেই কাজটা করতে পারলে ভাল লাগবে।’
বিজেপি চেয়েছিল রাজ্যসভার আসনে প্রার্থী দিয়ে মুকুল রায়ের অবস্থান প্রকাশ্যে আনতে। কিন্তু এতটাই শক্তি কম যে সেটা করতে গিয়েও মুখে চুন–কালি পড়বে। তাই রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্তত সম্মানটা বজায় থাকবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তবে এক্ষেত্রে জানা যাবে না মুকুল রায় কাকে ভোট দিলেন।
উল্লেখ্য, দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে নির্বাচন হবে আগামী ৯ আগস্ট। জহর সরকারের জয় একপ্রকার নিশ্চিত। বহুদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন প্রাক্তন এই আমলা। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে দড়ি টানাটানির সময়ও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। এবার রাজ্যসভায় গিয়ে মোদী বিরোধী মুখ হয়ে সওয়াল করবেন তিনি।