শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। বহু চাকরিপ্রার্থীর শেষ স্বপ্নকে কেড়ে নিয়েছে এই দুর্নীতি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তারা বর্তমানে জেলবন্দি। তবে শনিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, আসল মাথা হলেন পার্থ। তিনি এমনভাবেই দুর্নীতিটা করতেন যাতে পিকচারে না থাকতে হয়।
মানে সামনে তার ছবি আসবে না, কিন্তু মূল কলকাঠিটা নাড়তেন তিনিই। অভিযোগ এমনটাই। কিন্তু সেটা কেমন করে হত?
শনিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির করা হয়েছিল পার্থকে। জামিনের আবেদনও করা হয়েছিল। আর সেই জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এরপরই বিস্ফোরক বক্তব্য হাজির করা হয়েছে ।
সিবিআইয়ের দাবি, শিক্ষা এমন একটা জায়গা যা সমাজ তৈরি করে। একজন চিকিৎসক কোনও একটা ভুল করলে একজন রোগীর ক্ষতি হয়। কিন্তু এরা যে ধরনের অযোগ্য শিক্ষক এনেছে তাতে সমাজ কোনদিকে যাবে তার ঠিক নেই ভবিষ্যতে। পরিস্থিতি কখনও মিথ্য়ে কথা বলে না। বর্তমান ছবিই সেই পরিস্থিতিকে দেখাচ্ছে।
কিন্তু কীভাবে গোটা প্রক্রিয়াকে চালানো হত? সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়েছে, কাকে নিয়োগ করা হবে আর কাকে বাদ দেওয়া হবে গোটাটাই ছিল পরিকল্পনা। যারা সঙ্গ দিতেন না তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হত। বাড়িতে বৈঠক করে পদত্যাগ পর্যন্ত করানো হয়েছিল। দুর্নীতিতে পুরোপুরি যুক্ত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। অপরাধ এমনভাবে করতেন যাতে তিনি পিকচারে না থাকেন।
একেবারে সু পরিকল্পনা। আর সেই পরিকল্পনায় বড় মাথা হলেন পার্থ। তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব। দলের অন্দরে তার দাপট ছিল বিরাট। তার এক কলমের খোঁচায় পদ হারাতেন নীচুতলার নেতারা। তার পাশে সেলফি তোলার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যেত। আর সেই পার্থর বিরুদ্ধেই এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করল সিবিআই।
তবে পার্থর আইনজীবী অবশ্য় এই দাবি মানতে চাননি। তিনি তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে একাধিক যুক্তি তুলে ধরেন। কিন্তু বঙ্গবাসী একটা প্রশ্নের উত্তর এখনও পাননি তার বান্ধবী বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার হল কীভাবে? এত টাকা অর্পিতার বাড়িতে এল কোথা থেকে? এগুলি কি সবই চাকরি চুরির টাকা? ঘুরপথে সেই টাকাই কি এসে জমা হত অর্পিতার কোষাগারে?