কোনও প্রমাণ না থাকলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাগাতার হেনস্থা করছে ওরা। ১৩ সেপ্টেম্বর I.N.D.I.A জোটের সমন্বয় সমিতির প্রথম বৈঠকের দিনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির তলব নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, এভাবে যুব সম্প্রদায়কে রোখা যাবে না।
এদিন মমতা বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। রাজনৈতিকভাবে আমাদের সঙ্গে তাদের মতপার্থক্য রয়েছে। রাজনৈতিক দিক থেকে কিছু দলের সঙ্গে কিছু দলের বোঝাপড়া হয়, আবার অনেকের সঙ্গে হয় না। এটা গণতন্ত্রে হতেই পারে। কিন্তু গণতন্ত্রে একটা সীমা থাকে। সেই সীমা অতিক্রম করে এমন কিছু করা উচিত নয় যা অন্য রূপ ধারণ করে। আজ আপনার সরকার ক্ষমতায় আছে বলে এসব করছেন। কাল অন্য সরকার ক্ষমতায় আসবে, সেও একই কাজ করবে। এটা করা উচিত নয়’।
তাঁর দাবি, ‘আমরা কারও সঙ্গে কিছু করিনি। আমার কাছেও কত তথ্য রয়েছে। আমি সিপিএমের মুখ্যমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রীদের গায়ে হাত দিইনি। ওরা তো ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল। এটাই আমাদের সৌজন্য’।
অভিষেককে অকারণে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে দাবি করে মমতা বলেন, ‘অভিষেককে সব রকম ভাবে হেনস্থা করে। কখনও নিম্ন আদালতে, কখনও উচ্চ আদালতে সুবিচারের জন্য ওকে যেতে হয়। কোনও প্রমাণ, কিচ্ছু নেই, অকারনে ওকে হেনস্থা করছে। কারণ ওরা জানে, যুবারা সহ্য করবে না। ওরা যুব প্রজন্মকে শেষ করতে চায়। কিন্তু ওরা এভাবে যুবাদের রুখতে পারবে না’। এখন বুধবার অভিষেক ইডি দফতরে হাজিরা দেন কি না।