কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে বিজেপি বিধায়কদের আমন্ত্রণ পাঠাতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ইতিমধ্যেই বিধানসভায় সৌজন্যের নজির গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে এসে কথা বলেছেন। এবার সৌজন্যের আরও একধাপ পথে এগোতে চলেছে রাজ্য সরকার। আর এই ঘটনা ঘটলে সেটা হবে আরও বড় মাস্টারস্ট্রোক। কারণ বিরোধীদর তোলা অভিযোগ একলপ্তে খারিজ হয়ে যাবে। তাঁরাই বারবার অভিযোগ তুলেছেন, সরকারি অনুষ্ঠানে ডাকা হয় না বিজেপি বিধায়কদের। তাই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়কদের না ডাকা নিয়ে অভিযোগ তোলেন। তার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক উদাহরণ দিয়ে বিরোধী দলের সদস্যদের সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর ঘটনার উল্লেখ করেন। সূত্রের খবর, এই অভিযোগের পরেই মুখ্যমন্ত্রী তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, আগামী কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে বিজেপি বিধায়কদের আমন্ত্রণপত্র পাঠান।
নবান্ন থেকে আমন্ত্রণপত্র পেলে কি তাঁরা কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল দেখতে যাবেন? এই নিয়ে সেভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও যাওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে বিধানসভায় তাঁর ঘরে গিয়ে দেখা করলেও বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন, এই ঘটনায় আহ্লাদিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। সংসদীয় গণতন্ত্রে শাসক–বিরোধীর মধ্যে সৌজন্য থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এই প্রেক্ষাপটে হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার জানান, বিজেপি বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করলেও, রাজ্য সরকারকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বেন না তাঁরা। তাই আমন্ত্রণপত্র পেলেই বিজেপি বিধায়করা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে যাবেন সেটা ভাবার কারণ নেই।
উল্লেখ্য, আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হবেন অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, শাহরুখ খান, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ৫২টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে উদযাপন করা হবে হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়, অসিত সেন, পিয়র পাওলো পাসিলিনি, অ্যালান রিসনির শতবর্ষ। নন্দনের পাশাপাশি কলকাতার একাধিক সিনেমা হলে ছবি প্রদর্শন করা হবে।