বিধানসভার অধিবেশনের ফাঁকে শুক্রবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে একে অপরকে সৌজন্য দেখিয়েছেন। আর সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে তখন প্রণামও করেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর এটাই প্রথম দু’জনের সৌজন্য সাক্ষাৎ। এখন এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চর্চাও চলছে জোরকদমে। তবে সেই সৌজন্য পর্ব পেরিয়ে আজ, শনিবার স্বমেজাজে দেখা দিলেন তিনি। রাজ্য সরকারকে ফের নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
ঠিক কী করেছেন বিরোধী দলনেতা? আজ, শনিবার একটি টুইটে করেন বিরোধী দলনেতা। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘দুর্নীতি করে কেনা অবৈধ নিয়োগ যেভাবে মন্ত্রিসভা বাঁচানোর চেষ্টা করছে, তা সত্যিই অবাক করছে। এটা যদি সাংবিধানিক সংকট না হয়, তাহলে আর কী হবে? তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের হাতে বাংলা তলানিতে যাচ্ছে। বাংলায় এখন এক ‘আল্ট্রা ইমার্জেন্সি’র অবস্থা।’ রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের লেটারহেডে মে মাসের একটি লেখাও নিজের টুইটারে তুলে ধরেছেন শুভেন্দু। যেখানে লেখা আছে, ৫ হাজার ২৬১টি সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করার প্রস্তাব।
আর কী ঘটেছে আজ? শুভেন্দু অধিকারীর টুইটের আগে আজ, শনিবার তমলুকের সাংসদ তথা অধিকারী পরিবারের সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারী শান্তিকুঞ্জে চায়ের আমন্ত্রণ করে বসেছেন। আর আমন্ত্রণ করেছেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আগামী ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা আছে অভিষেকের। সেদিন তাঁকে বাড়িতে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আবার তারপরই শুভেন্দুর এমন মারাত্মক টুইট আসে। সুতরাং শান্তিকুঞ্জে অভিষেক পা রাখবেন বলে মনে করছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্জরা। ফলে শাসক–বিরোধী দ্বৈরথ থেকেই যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সৌজন্য সাক্ষাৎ দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলকে তুলোধনা করে আবার টুইটারে আক্রমণও দেখা যাচ্ছে। তাই শুভেন্দুর এই টুইট নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। সেখানে আজ, শনিবার রামনগরে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা আছে। যেখান থেকে সবকিছু জবাব দেওয়া হবে।