রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবারের গোটা নির্বাচনপর্ব জুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সকলেরই অন্যতম নিশানা ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লা কেলেঙ্কারি থেকে গোরু পাচারের প্রসঙ্গ তুলে বারবারই বিদ্ধ করা হয়েছে অভিষেককে। নির্বাচনী প্রচারকে আরও সরগরম করতে বিজেপি নেতৃত্বের কথায় কথায় উঠে এসেছিল পিসি ভাইপোর প্রসঙ্গ। কিন্তু এত সব কিছুর পরেও ফলাফল বেরতেই দেখা যাচ্ছে বিজেপি প্রত্য়াশিত ফলের ধারে কাছে পৌঁছয়নি। ফের ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। এদিকে এই ভরাডুবির পরেও বিজেপির নিশানা সেই ভাইপো তথা যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তাঁকে কার্যত নাবালক বলেও কটাক্ষ করেছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু দল সূত্রে খবর, এবার সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ও অতিরিক্ত দায়িত্ব তুলে দিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের অন্দরমহল সূত্রে খবর, শনিবার কলকাতায় তৃণমূলের বিশেষ বৈঠক রয়েছে। তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর এটাই সবথেকে বড় সাংগঠনিক বৈঠক। সমস্ত সিনিয়র লিডারদের সেই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। তৃণমূল কার্যালয়ে দলের পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করতে কী সিদ্ধান্ত হয় সেদিকেই নজর সবার। জাতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলের প্রাসঙ্গিকতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কী কী আলোচনা হয়ে সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছেন দলের অনেকেই।
দলের একাংশের মতে, সাংগঠনিক ক্ষেত্রে একাধিক বড় ঘোষণা ও রদবদলের সম্ভাবনাও রয়েছে। এর সঙ্গেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় যাঁকে মমতার রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসাবেই গণ্য করা হয় তাঁকে কোন অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছেন অনেকেই। একজন তৃণমূল নেতার দাবি, ‘যুব শক্তিকে আরও তুলে ধরার ব্যাপারে নেত্রী কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি আমরা। ২০১৯ থেকেই এটা তৃণমূলের আভ্যন্তরীন রণকৌশল।’