সংসদে তাণ্ডবের ঘটনায় প্রথমবার মুখ খুলে বঙ্গযোগের অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে এই দাবি করেন তিনি। সঙ্গে মমতার দাবি, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।
এদিন মমতা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘সংসদে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা খুবই গুরুতর। এখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সংসদে নিরাপত্তার গাফিলতি ছিল। এরকম ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা এরকম গুরুতর নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আপস করি না। ওরা ব্যাপারটার তদন্ত করে দেখুক'। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে বাংলার কোনও যোগাযোগ নেই। ওরা এটা বলে দিয়েছে। ঝাড়খণ্ড আর কোথায় কোথায় যোগ আছে আমি জানি না’।
যদিও সংসদে তাণ্ডবের দিন অধিবেশন মুলতুবি হতে প্রথম কক্ষের বাইরে এসে চিৎকার চ্যাঁচামেচি শুরু করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দোস্তিদার ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহের বিরুদ্ধে সাংসদদের নিরাপত্তা না দিতে পারার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। তার পর থেকে এই ঘটনায় বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজনৈতিক আক্রমণ করে গিয়েছে তৃণমূলসহ বিরোধীরা। যার জেরে শনিবার লোকসভার সমস্ত সাংসদকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি না করতে করতে অনুরোধ করেন স্পিকার ওম বিড়লা।