দক্ষিণেশ্বর স্টেশনের পরিকাঠামোকে সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করতে প্রয়োজন মেট্রো লাইন আরও কিছুটা সম্প্রসারণের। কিন্তু যেখানে সম্প্রসারণ হবে সেখানে রয়েছে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের প্রবেশ ও বাহির পথ। তাই স্কাই ওয়াকের সেই অংশকে ভাঙতে অনুরোধ করে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠিকে হাতিয়ার করে বাঙালীর ধর্মীয় আবেগ উসকে দিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে স্কাইওয়াকের প্রবেশপথ ভাঙতে বলা মন্দির ভাঙতে বলার সামিল!
মঙ্গলবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বলেন, ‘ধর্মস্থান নিয়ে যারা বড় বড় কথা বলে। আমার রক্ত থাকতে আমি দক্ষিণেশ্বর স্কাই ওয়াক ভাঙতে দেব না। আমি অনেক কষ্ট করে, ৮ – ১০টা মিটিং করে.... এমনকী কোর্টে কেস পর্যন্ত হয়েছে। সেটা আমরা জিতেছিলাম। ওখানে অনেক হকার ছিল। অনেক সাধারণ মানুষ ছিলেন। তাদের সবাইকে বুঝিয়ে। অনেক কষ্ট করে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের যানজট পরিষ্কার করার জন্য আমি এই স্কাই ওয়াক করেছিলাম। এটা আমার হৃদয়েক একটা মণিমুক্তর মতো। প্রাণ প্রতিষ্ঠা আমাদের কাজ নয়। ওটা সাধু সন্তদের কাজ। পুরোহিত - ইমামদের কাজ। আমাদের কাজ পরিকাঠামো তৈরি করা’।
মমতা মনে করান, ‘দক্ষিণেশ্বর আজকের নয়। দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াকে হাত দিলে বিবেকানন্দের কথা, রামকৃষ্ণের কথা, ভবতারিনী মায়ের কথা, কোটি কোটি ভক্তের কথা মনে করতে হবে’।
বিজেপিকে নাম না করে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘এদের ঔদ্ধত্য দেখলে আমি অবাক হয়ে যাই। হাত দিচ্ছে কোথায়? হাত দিচ্ছে দক্ষিণেশ্বরে? ক’দিন বাদে বলবে কালীঘাটটা ভেঙে দেও। শুনব না! যদি বলে, নাখোদা মসজিদ ভেঙে দেও, আমি থোড়াই শুনব। এগুলো মানতে আমি বাধ্য নই, মানতে রাজি নই। ওদের আমার সঙ্গে বসতে দিন। ম্যাপ নিয়ে বসলে হবে না। ফিজিক্যালি ভেরিফিকেশন করতে হবে’।
এদিন জোকা - বিবাদী বাগ মেট্রোর জন্য আলিপুর বডিগার্ড লাইনের জমি দিতেও অস্বীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী। দাবি করেন তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কলকাতার মেট্রো প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত বরাদ্দ রেখে এসেছিলেন। তার পরেই ইচ্ছাকৃতভাবে স্লথ গতিতে কাজ হচ্ছে। আর ধাপে ধাপে প্রকল্পের উদ্বোধন হচ্ছে। ছবি লাগিয়ে প্রচারের জন্য এই কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কলকাতা মেট্রো ডিভিশন চালু করেছিলেন।