রবিবার মালদা দক্ষিণের প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রায়হানের সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুজাপুরে বিরাট সভা। সেই সভায় মমতা বলেন, শাঁখা পলা কী জানেন? এসব বাদ দেওয়া নিয়ে কথা বলছেন? উনি যা বলেছেন আমি তা উচ্চারণ করতে পারি না। আমি ওসবে বিশ্বাসও করি না। কিন্তু আমি যতদিন থাকব, ততদিন ঐক্য, শান্তি প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে যাব। আমার কাছে সতী সাবিত্রী সীতা, জাহানারা, রোশেনারার মধ্য়ে কোনও ফারাক নেই। বলেন মমতা।
কিন্তু কেন তিনি এভাবে শাঁখা পলার প্রসঙ্গ তুললেন? আসলে তার আগে রাজস্থানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিছু কথা বলেছিলেন যা নয়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সরকারে থাকাকালীন কংগ্রেস বলেছিল দেশের সম্পদের উপর মুসলিমদের অধিকার সকলের আগে। যাদের পরিবারে বেশি সন্তান রয়েছে।কংগ্রেসের ইস্তেহারে বলা হয়েছে মা বোনেদের সোনার গয়নার হিসেব করে সেই সম্পদ বিতরণ করা হবে। মনমোহন সিংহের সরকার তো বলেই দিয়েছে দেশের সম্পদে অধিকার মুসলিমদেরই। আপনাদের মঙ্গলসূত্রটাও বাদ দেবে না। একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে একথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তারপর অবশ্য় এনিয়ে নানা কথা বলেছিলেন বিরোধীরা। তবে এবার তানিয়ে মুখ খুললেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শাখা পলা মঙ্গলসূত্রের প্রসঙ্গ তুললেন মমতা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, শাখা, পলা, মঙ্গলসূত্র নারীদের কাছে অত্যন্ত আবেগের বিষয়। সেই শাখা পলা, মঙ্গলসূত্রের প্রসঙ্গ এবার উঠে এল ভোটের প্রচারেও। এনিয়ে ইতিমধ্যেই নানা কথা উঠতে শুরু করেছে।
তবে এর আগে এনিয়ে মুখ খুলেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আবার যদি ক্ষমতায় আসে তবে ওরা সংবিধান বদলে দেবে। এখন হয়তো বিজেপি নেতারা ব্যাপারটা মানতে চাইছেন না কিন্তু ক্ষমতায় ফিরে এলেই বিজেপি এটাই করবে। বলছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শনিবার আমেদাবাদের ধরমপুরে গ্রামে একটি সভায় বক্তব্য রাখেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী এমনভাবে কথা বলছেন যে তিনি ভাবছেন যে মানুষ হয়তো তাঁর কথা গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, এখন তিনি বলছেন যে কংগ্রেস এক্স রে মেশিন নিয়ে মানুষের বাড়িতে ঢুকে পড়বে এরপর গয়না ছিনিয়ে নেবে। মঙ্গলসূত্রও ছিনিয়ে নেবে। কিন্তু সেটা কি সম্ভব? তিনি কি নার্ভাসনেস থেকে এসব করে ফেলছেন? তীব্র তোপ দেগেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।