রাজ্যে হাম রুবেলার টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয় ৯ জানুয়ারি থেকে। ১১ ফেব্রুয়ারিতে এই কর্মসূচি শেষ হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু জায়গায় এই কর্মসূচির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর কারণ হল মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব। পালস পোলিওর প্রতিষেধক, কোভিড টিকার মতোই হাম রুবেলার টিকাকরণের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে গার্ডেনরিচ এবং মেটিয়াবুরুজ এলাকায়।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাম রুবেলার টিকাকরণের ক্ষেত্রে রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলির থেকে পিছিয়ে রয়েছে কলকাতা। এদিকে, কলকাতায় টিকাকরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে গার্ডেনরিচ এবং মেটিয়াবুরুজ। পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় হাম রুবেলার প্রতিষেধক দেওয়ার হার ৭০ শতাংশ, সেখানে মেটিয়াবুরুজ এবং গার্ডেনরিচ এলাকায় এর হার মাত্র ৩০ শতাংশ। অর্থাৎ কলকাতার মধ্যে এই দুটি এলাকা টিকাকরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে। মেটিয়াবুরুজের বিধায়ক আব্দুল খালেক মোল্লা জানান, মূলত নাগরিক সচেতনতার অভাবেই এখানে বহু মানুষ হাম রুবেলার প্রতিষেধক নিতে চাইছেন না। তিনি জানান, এই সমস্যার মোকাবেলায় অভিভাবকদের সচেতন করার জন্য বিভিন্নভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের কাজে লাগানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৫ নম্বর বোরোর অধীনে এই এলাকাগুলিতে আগেও বিভিন্ন ধরনের প্রতিষেধক দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। হাম রুবেলার প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য সেখানে ইমামদের নিয়ে কর্মশালা করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। কারণ এর আগে ওই সমস্ত এলাকায় টিকাকরণের ক্ষেত্রে যখন সমস্যা দেখা দিয়েছিল সে ক্ষেত্রে সচেতনতার জন্য অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন মসজিদের ইমামরা। এ বিষয়ে ১৫ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান রঞ্জিত শীল জানিয়েছেন, এই এলাকায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টিকা নিতে অনীহা দেখা যায়। তাই ইমামদের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। তারপরও সেরকম কাজ হচ্ছে না। মেটিয়াবুরুজের ১৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু তারিখ মোল্লা জানান, যে কোনও ধরনের টিকা নিয়ে এই এলাকার মানুষদের মধ্যে একটা ভুল ধারণা রয়েছে। সকলেই যাতে প্রতিষেধক নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তার জন্য পুরসভার তরফে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা-সহ তিনটি পুর এলাকায় এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কিছু অংশে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবের কারণে প্রতিষেধক দেওয়ার হার খুবই কম। সেই কথা মাথায় রেখে ওই এলাকায় প্রতিষেধক দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে প্রশ্ন উঠছে সময় বাড়ানো হলেও কি সেক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ টিকা দেওয়া সম্ভব হবে? এ বিষয়ে কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ১৫ নম্বর বোরোয় টিকাদানের হার বেড়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই হার সন্তোষজনক জায়গায় পৌঁছবে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup