পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ কমিশনের পরামর্শে প্রয়াত চিকিৎসক প্রদীপ ভট্টাচার্যের চিকিৎসার বিল এক ধাক্কায় ৩,৬০,০০০ টাকা কমাল মেডিকা হাসপাতাল। গত সোমবার মৃত্যু হয় শ্যামনগরের নাম করা ওই ডাক্তারবাবুর। তাঁর পরিবারকে মোট ১৮,৩৪,০০০ টাকার বিল ধরায় মেডিকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই বিল পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এসএমএস করেছিলেন স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
শ্যামনগর এলাকায় গরিবের ডাক্তার বলে পরিচিত ছিলেন প্রদীপবাবু। নামমাত্র ফিতে কারখানার শ্রমিকদের চিকিৎসা করতেন তিনি। ডাক্তারবাবুর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তাঁকে মেডিকা হাসপাতালে ভর্তি করে কর্তৃপক্ষ। সেখানে সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর তাঁর পরিবারের হাতে ১৮ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকার বিল ধরানো হয়। যা মেটাতে গিয়ে কার্যত নিস্ব হয়ে গিয়েছে ডাক্তারবাবুর পরিবার।
মেডিকা হাসপাতালের এই বিলে তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়ায় চিকিৎসকদের মধ্যে। প্রশ্ন ওঠে, একজন করোনাযোদ্ধাকে মৃত্যুর পরও যদি সাধারণ মানুষের হারে হাসপাতালের বিল চোকাতে হয় তাহলে কেন ঝুঁকি নিয়ে ময়দানে নামবেন চিকিৎসকরা। এই নিয়ে সোশ্যাল সাইটে ব্যাপক আলোচনা হতে থাকে। বিষয়টি স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধানের নজরে এলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে টেক্সট মেসেজ করেন তিনি। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই হাসপাতালের তরফে প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়, আর্জি খতিয়ে দেখা হবে। সেই আবেদনে বিল কমল ৩,৬০,০০০ টাকা।