সোমবার ছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এসবিবিএসএর একটি সেমিস্টারের প্রথম পরীক্ষা। পরীক্ষায় শতাধিক পড়ুয়া ছিলেন অনুপস্থিত। এরপর আজ বুধবারেও কোনও পদক্ষেপ উঠে আসেনি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে।
কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ রঘুনাথ মিশ্র। তবে বুধবারও এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এদিকে, সোমবারের পর পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনেও বহু পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে অনুপস্থিতদের নিয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে বলে খবর। কলেজ সূত্রের খবর, তিনটি পন্থায় পরীক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। প্রথমত পড়ুয়ারা ক্ষমা চাইলে বিবেচনা করা হবে। দ্বিতীয়ত, অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীরা প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষা দিতে চাইলে তা দিতে দেওয়া হবে। তৃতীয়ত, পরীক্ষার্থীরা ক্ষমা না চাইলে শূন্য বসানো হবে। দেদার হুকিং কলকাতায়, বিদ্যুতের তার জড়িয়ে বিপজ্জনক অবস্থা! পদক্ষেপ মেয়র পারিষদের
তবে বিভাগীয় প্রধানরা আগে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে তারপর অই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খবর। প্রশ্ন উঠছে, এতজন পড়ুয়া একসঙ্গে অনুপস্থিত হওয়ার পরও কেন কলেজ কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি বুধবারেও। অধ্যক্ষ রঘুনাথ মিশ্র বলছেন, এই পরীক্ষা বিভাগীয়, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। এখানে বিভাগীয় প্রধানদের বক্তব্যই গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে, পড়ুয়াদের বক্তব্য অনেকেই করোনা আক্রান্ত। তাই পরীক্ষায় অনুপস্থিত অনেকে। কর্তৃপক্ষ বলছে সব সুরক্ষার বন্দোবস্ত থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় বসেননি অনেকে। তাঁদের মতে, একটা সময় করোনার সংখ্যা যখন আরও বেশি ছিল তখনও পরীক্ষা দিয়েছেন পড়ুয়ারা। ফলে এই ঘটনা নিয়ে নতুন করে উঠছে প্রশ্ন।