আরও আটটি মেডিক্যাল কলেজ পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। এই আটটি নতুন মেডিক্যাল কলেজের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সেই আটটিরই অনুমোদন মিলেছে বলে খবর। দেশজুড়ে নতুন মেডিকেল কলেজ চালুর জন্য আবেদন কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েছিল। তার মধ্যে থেকে মোট ১১২টির ক্ষেত্রে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে বাংলা থেকে নতুন ৮টি মেডিকেল কলেজ চালুর আবেদন জমা পড়েছিল। সেই ৮টি মেডিক্যাল কলেজকেই ছাড়পত্র দিয়েছে মোদী সরকার। খড়গপুর মেডিক্যাল কলেজ সরকারি নিয়ন্ত্রণে। বাকি সাতটিই বেসরকারি কলেজ। নতুন মেডিক্যাল কলেজগুলির মধ্যে রয়েছে—উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলার দুটি করে এবং পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের একটি করে মেডিক্যাল কলেজ।
এদিকে এই কাজটি হলে চিকিৎসা বিদ্যা গ্রহণে যেমন পথ খুলবে তেমন চিকিৎসা পরিষেবা থেকে পরিকাঠামো বাড়বে। তাতে আখেরে মানুষের উপকার হবে। নতুন সাতটি মেডিক্যাল কলেজের আসন সংখ্যা বাড়তে চলেছে বলে খবর। সুতরাং আগামী শিক্ষাবর্ষে রাজ্যে এমবিবিএস আসন সংখ্যা বেড়ে হচ্ছে ৬ হাজার। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলায় এখন ২৯টি সরকারি এবং সাতটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ আছে। কিন্তু আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই সংখ্যাটাই বেড়ে দাঁড়াবে যথাক্রমে ৩০ এবং ১৪।
আরও পড়ুন: দক্ষিণে আসন সমঝোতা নিয়ে জোর চেষ্টা করছে সিপিএম, কংগ্রেসের দাবি বাড়ছে
অন্যদিকে যে ৮টি মেডিক্যাল কলেজের কথা বলা হচ্ছে সেগুলি হল—পুরুলিয়ার ভারত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খড়গপুরের ডাঃ বি সি রায় মাল্টি স্পেশালিটি মেডিকেল রিসার্চ সেন্টার (আইআইটি খড়গপুর), অশোকগরের এমআর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড হসপিটাল, পূর্ব বর্ধমানের ইস্ট–ওয়েস্ট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ, নিউটাউনের পিকেজি মেডিকেল কলেজ, রানাঘাটের মন্দাকিনী ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড হসপিটাল, কৃষ্ণনগরের ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স প্রাইভেট লিমিটেড, রঘুনাথগঞ্জের জাকির হোসেন মেডিকেল কলেজ এবং রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
এছাড়া স্নাতক স্তরে ডাক্তারি পড়ুয়া ভর্তি করার জন্য এই মেডিক্যাল কলেজগুলি ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। আবার এমবিবিএস আসন বাড়ছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল, মালদা মেডিক্যাল, কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল, জোকার ইএসআই মেডিক্যাল কলেজ, যাদবপুর কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ, দুর্গাপুরের আইকিউ সিটি মেডিক্যাল কলেজ এবং সনকা মেডিক্যাল কলেজ। এটা অবশ্য লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলার জন্য সুখবর।