করোর মন খারাপ, কেউ আবার চিকিৎসকদের সঙ্গে ঠিকভাবে কথাও বলছেন না। কেউ আবার নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশের জায়গাতেও নেই। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারে হাই কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা ছিল।কিন্তু হয় নি। স্বভাবতই এখন মানসিক চাপ বাড়ছে রাজ্যের ৪ জন হেভিওয়েট নেতার।
এদিন সকালে হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়, অনিবার্য কারণবশত আদালতে নারদ মামলায় ৪ জন নেতার জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়ে শুনানি হচ্ছে না। এদিন সকালে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যাবেন, সেই আত্মবিশ্বাস থাকলেও মেয়ের কাছ শুনানি না হওয়ার কথা জানতে পারেন কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এরপরই কিছুটা হলেও মন খারাপ হয়ে যায় তাঁর। স্ত্রীর সঙ্গে কিছুটা কথা হলেও আর কারোর সঙ্গে কোনও কথা বলেননি ফিরহাদ। দেখাও করেননি।
অন্যদিকে এদিনও আজও আদালতের শুনানি না হওয়ায় রীতিমতো বিরক্ত রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। নেবুলাইজার চলছে। হৃদযন্ত্রে সামান্য সমস্যাও রয়েছে। রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার পরিমাণ ওঠানামা করছে। শারীরিক এই পরিস্থিতির মধ্যেও আদালতে শুনানি না হওয়া নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুব্রতবাবু।সূত্রের খবর, এদিন তিনি এতটাই বিরক্ত ছিলেন যে ঠিকমতো চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলেননি।
এদিকে সদ্য করোনা থেকে সেরে ওঠা রাজ্যের জনপ্রিয় নেতা মদন মিত্রকে এদিনও অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ থাকায় প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।তবে তিনি এখনও আত্মবিশ্বাসী। অনুগামীদের কাছে বলেছেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।তবে মানসিকভাবে অনেকটাই বিপর্যস্ত কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।হৃদযন্ত্রে কিছুটা সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছে।