সকাল থেকেই শুরু হয়েছে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। কিন্তু তারপর থেকেই একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করে। কলকাতা পুরসভা এলাকার বেলেঘাটায় ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। তার আগে টাকি হাইস্কুলের কাছে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের এজেন্টকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাম্পের ব্যানার, ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পাপিয়া ঘোষ।
এই অভিযোগ মেটাতে না মেটাতেই জোড়াবাগান এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতকে হেনস্থা, পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। নির্দল প্রার্থীদের মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে। গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
তবে নানা অভিযোগ উঠলেও পুলিশ দ্রুত তা মিটিয়ে দিচ্ছে। গোটা কলকাতা শহর পুলিশে মুড়ে ফেলা হয়েছে। আজ, রবিবার ভোটের সময় মেটিয়াব্রুজ হাইস্কুলে উত্তেজনা দেখা দেয়। ১৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ও তার দলবলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে।
আবার কেন্দুয়া ১০১ ওয়ার্ডে এবার বুথ দখলের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা চাউর হতেই তা নিয়ে রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন। অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে ভোট–পর্ব চলছে। প্রতিটি বুথে সিসিটিভি মোতায়েন রয়েছে। বুথের ভিতরে ও বাইরে পুলিশের প্রহরা রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে টহল দিচ্ছেন জিএসপি পদমর্যাদার অফিসাররা।