মোমিনপুরকাণ্ডকে ঘিরে নানা চাপানউতোর চলছে এখনও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই এনিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বাংলার রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলেছেন তিনি। এদিকে সেই মোমিনপুর, একবালপুর, ভূকৈলাশ রোডে কান পাতলে অবশ্য শোনা যাচ্ছে সম্প্রীতিরই বার্তা।
ভূকৈলাশ রোডে একেবারে মোড়ের মাথায় ভূকৈলাশ হিন্দুস্তান নবযুবক সংঘ। ৬১ বছর ধরে সেখানে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দেখা গেল মণ্ডপ খোলার কাজ ধাপে ধাপে শুরু হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন প্রচুর মানুষ এই পুজো দেখতে আসেন। কার্যত সর্বজনীন চেহারা নেয় এখানকার পুজো। এবারও হয়েছিল সেই দুর্গাপুজো। কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতাতেই এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। কোনও অশান্তির আঁচ পড়ে না এখানকার পুজোতে।
সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন সংখ্যালঘু পরিবারের দুই মহিলা। পুজো উদ্যোক্তাদের সম্পর্ক জিজ্ঞাসা করতেই অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁরা দেখিয়ে দেন। সামনেই জসনে ইদ মিলাদ উন নবির সুবিশাল গেট। তার কাছেই দুর্গাপুজোর মণ্ডপ। এখনও পুজোর হোর্ডিং টাঙানো রয়েছে। সেখানে এতটুকু আঁচড় কাটেনি কেউ। যাবতীয় ভেদাভেদকে সরিয়ে রেখে স্থানীয় যুবকরা একসঙ্গেই বসে গল্প করছিলেন এদিন।
এদিকে দিন কয়েক আগেই এই জায়গা থেকে কাছেই মোমিনপুর এলাকায় অশান্তির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু সেসব ভুলে যেতে চান স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুজো কমিটির প্রেসিডেন্ট জয়ন্ত রায় বলেন, ৬১ বছরে পা দিল এখানকার পুজো। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। আমরা সবাই একসঙ্গে থাকি। কোনওদিন কোনও সমস্যা হয়নি। অত্যন্ত সম্প্রীতি বজায় আছে এলাকায়।