সম্প্রতি কলকাতায় একের পর এক ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, বেপরোয়া গাড়ির গতির কারণেই পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তা কমাতে ইতিমধ্যে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুলিশ। আর এবার পথ দুর্ঘটনা কমাতে শহরের রাস্তায় বেশি সংখ্যায় স্পিড বেকার বা হাম্প বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের তরফে এই সংক্রান্ত অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি কলকাতা পুরসভাকে পাঠানো হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে যাতে নির্দিষ্ট রাস্তায় দ্রুত স্পিড ব্রেকার বা হাম্প বসানো যায় সে বিষয়টি চিঠিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাসের ধাক্কায় মৃত্যু মার্বেল মিস্ত্রির, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ, ভাঙচুর গাড়ি
মূলত দুর্ঘটনার প্রবণ রাস্তার তালিকা পুরসভাকে পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। ওই সমস্ত রাস্তায় দ্রুত হাম্প তৈরি করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। সেই রাস্তাগুলি হল কাশীপুর রোড, কে ক্ষীরোদপ্রসাদ রোড, সি ঘোষ রোড, হরলাল মৈত্র স্ট্রিট, দমদম রোড, বাগবাজার স্ট্রিট প্রভৃতি। এই সমস্ত রাস্তায় জরুরি ভিত্তিতে হাম্প তৈরির কাজ শুরু করার অনুরোধ করেছে লালবাজার।
রাস্তাগুলির কোথায় কোথায় স্পিড ব্রেকার বা হাম্প তৈরি করার প্রয়োজন সে বিষয়টিও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে লালবাজার। সেক্ষেত্রে এই সমস্ত রাস্তাগুলির ১৬ টি জায়গায় হাম্প বানানোর কথা বলা হয়েছে। তাছাড়া তার উচ্চতা যাতে খুব বেশি না হয় সে বিষয়টিও স্পষ্ট করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাস্তাগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখে নির্দিষ্ট জায়গায় হাম্প বা স্পিড বেকার বসানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত,কলকাতায় পথ দুর্ঘটনা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে লালবাজার। বিশেষ করে বেপরোয়া গাড়ির গতি রুখতে নিয়মিত নজরদারি থাকে কলকাতা পুলিশের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হল বেপরোয়া গাড়ির গতি। তা এখন কলকাতা পুলিশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তায় পুলিশের নজরদারি এবং সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকা সত্ত্বেও কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না বেপরোয়া গাড়ির গতি। বড় রাস্তায় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও ছোট রাস্তার ক্ষেত্রে তা খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ সেখানে পুলিশের নজরদারি কম থাকে। তাই দুর্ঘটনা কমাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে লালবাজার। এ বিষয় লালবাজারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সারা বছরই দুর্ঘটনা কমাতে সক্রিয় থাকে পুলিশ। এরজন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গাড়ি চালক সতর্ক হলে সে ক্ষেত্রে পথ দুর্ঘটনা আরও কমানো যাবে।