বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > মেয়েকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা মায়ের, হরিদেবপুরে গ্রেফতার দুই, নেপথ্য কারণ কী?

মেয়েকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা মায়ের, হরিদেবপুরে গ্রেফতার দুই, নেপথ্য কারণ কী?

গ্রেফতার করা হয় প্রেমিককে। (প্রতীকী ছবি)

তদন্তে নেমে নানা তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে পুলিশ। টেলিগ্রামে রাজা টেন ও সোনালি চন্দের মেয়েকে খুন করার বিষয়ে কথা হয়। সেই পরিকল্পনার রেকর্ড হাতে আসে পুলিশের। তখনই পয়লা মে শ্রমিক দিবসের দিন সোনালি চন্দকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর তাকে জেরা করেই হুগলির চন্দননগর থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রেমিককে।

মেয়ের বয়স ১৬। নাবালিকা হলেও মায়ের কাণ্ডকারখানা তার চোখ খুলে দিয়েছিল। মায়ের বয়স ৩৫। স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকার সুযোগ নিয়ে মা দিব্যি পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি মা ও প্রেমিককে একসঙ্গে বিছানায় সহবাস করতে দেখে ফেলে মেয়ে। প্রেমিক বাড়ি থেকে চলে গেলে এই ঘটনার প্রতিবাদ করে ষোড়শী। প্রথমে তাকে মিথ্যে বলে থামাবার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি মা। বরং অশান্তি বেড়েই চলছিল। তাই প্রেমিকের সঙ্গে খোলামেলা ভাবে মেলামেশা করা যাচ্ছিল না। তখনই মেয়েকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়।

ঠিক কী ঘটেছে হরিদেবপুরে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, এই আক্রান্ত মেয়ের মার প্রেমিক রয়েছে। তাদের ঘনিষ্ঠতা সামনে আসতেই প্রতিবাদ করে মেয়ে। তাতে প্রেমিকের সঙ্গে মেলামেশায় বাধা তৈরি হয়। তাই প্রেমিককে সঙ্গে নিয়েই মেয়েকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে মেয়েটির মা। আর জীবিত অবস্থায় মেয়েটির গায়ে আগুন লাগিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। প্রেমে বাধার জেরে এমন নৃশংস হত্যার চেষ্টা করে একজন মা। তাই হরিদেবপুর থানা এলাকা থেকে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তাকে এই খুনের চেষ্টায় সাহায্য করার অভিযোগে চন্দননগর থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রেমিককে। আজ মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হবে। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নাবালিকা এমন আক্রমণ তার উপর নেমে আসায় থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশকে একটি চিঠি দিয়ে মেয়েটি সব ঘটনা জানিয়েছে। মেয়েটির দাবি, নিজের প্রেমিকের সঙ্গে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিল তার মা সোনালি চন্দ (৩৫)। প্রেমিকের নাম রাজা টেনে। ওই প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে ঘরেই মেয়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের জোরে রক্ষা পায় কিশোরী। পুলিশ লিখিত অভিযোগ হাতে পেতেই মা ও প্রেমিককে গ্রেফতার করে। আর মেয়েটিকে নিরাপত্তা দেয়।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ তদন্তে নেমে নানা তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে পুলিশ। টেলিগ্রামে রাজা টেন ও সোনালি চন্দের মেয়েকে খুন করার বিষয়ে কথা হয়। সেই পরিকল্পনার রেকর্ড হাতে আসে পুলিশের। আর কিশোরীকে খুনের ছক কষার প্রমাণ হাতে পেয়ে যায় পুলিশ। তখনই পয়লা মে শ্রমিক দিবসের দিন সোনালি চন্দকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর তাকে জেরা করেই হুগলির চন্দননগর থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রেমিক রাজা টেন–কে। এছাড়া আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম প্রসূন মান্না। তাঁর বিরুদ্ধে খুনে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।

বন্ধ করুন