নেতাজির জন্মজয়ন্তীকে নিয়ে যখন রাজনীতির আবহ তৈরি হয়েছিল, তখন কৌশলে সেই রাজনীতি নেতাজি ভবনে প্রবেশ করতে দিলেন না দেশনায়কের প্রপৌত্র সুগত বসু। এলগিন রোডে নেতাজির বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী আসবেন বলে খবর দেওয়া হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে কয়েকজন বিজেপি নেতার আসার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা খারিজ করে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী আসুন তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু কোনওভাবেই বিজেপি নেতাদের প্রবেশ ঘটিয়ে নেতাজির জন্মজয়ন্তীকে রাজনীতির রং লাগানো যাবে না। এভাবেই রাজনীতি ঢোকা ঠেকালেন সুগত বসু।
সূত্রের খবর, সুগত বসুকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ফোন করা হয়েছিল। শনিবার সেই ফোনে বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতাজি ভবন পরিদর্শনে যেতে চান। আর কয়েকজন বিজেপি নেতা তাঁর সঙ্গে যাবেন। সুগত বসু প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। তাই তিনি রাজনীতিটা বিলক্ষণ বুঝতে পারেন। তৎক্ষণাৎ সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই স্বাগত। তবে এই অনুষ্ঠানের কখনওই রাজনীতিকরণ করা যাবে না।
এই ফোনের কথোপকথনের পর সিদ্ধান্ত বদল হয়। নেতাজি ভবনে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর বাইরে থাকতে হয় বিজেপির প্রথমসারির নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, স্বপন দাশগুপ্তকে। মোদী গাড়ি থেকে নামার পর তাঁকে স্বাগত জানান চন্দ্র বসু। এরপর বসু পরিবারের অপর সদস্য সুগত বসুর সঙ্গে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ঘুরে দেখেন নেতাজি মিউজিয়াম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও।
তবে সেখানে কিছু বিজেপি সমর্থক নেতাজির বাড়ির বাইরে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন। বিজেপি নেতাদের একাংশের দাবি, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনা ভালো বার্তা বহন করল না। সুগত বসু জানান, ‘আগে যাঁরা প্রধানমন্ত্রী ছিলেল, তাঁরা যখন এখানে আসতে চাইতেন তার বহু আগে থেকে যোগাযোগ করা হত। এবারই প্রথম যে, এক ঘণ্টা আগে জানানো হল।’ আর চন্দ্রকুমার বসু বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেছিলাম এখানে আসার জন্য। তিনি আমার অনুরোধ রেখেছেন।’