বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > হাওড়া স্টেশন লাগোয়া খাবারের দোকান, হোটেল থেকে বাড়ছে দূষণ, রিপোর্ট তলব

হাওড়া স্টেশন লাগোয়া খাবারের দোকান, হোটেল থেকে বাড়ছে দূষণ, রিপোর্ট তলব

হাওড়া স্টেশন। ফাইল ছবি

এই সংক্রান্ত মামলায় জাতীয় পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ওই এলাকায় কতগুলি হোটেল এবং খাবারের দোকানের নিকাশি ব্যবস্থা বর্জ্য পরিশোধন প্লান্টের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে? সে বিষয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 

 

হাওড়া স্টেশন লাগোয়া এলাকায় অনেক খাবারের দোকান এবং হোটেল রয়েছে। সে সমস্ত খাবারের দোকান ও হোটেলগুলি থেকে প্রতিদিন অপরিশোধিত তরল বর্জ্য নির্গত হয়ে ক্রমাগত মিশছে গঙ্গায়। তার ফলে দূষিত হচ্ছে গঙ্গা। এনিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবেশকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, এই সমস্ত হোটেল এবং খাবারের দোকানগুলি ন্যূনতম পরিবেশবিধি মানছে না, আর তারফলেই দূষণ বাড়ছে। তাঁদের অভিযোগ, তরল বর্জ্য পরিশোধন করার জন্য সেখানে প্লান্ট রয়েছে। কিন্তু ওই সমস্ত খাবারের দোকান এবং হোটেলগুলির নিকাশী ব্যবস্থার তরল বর্জ্য পরিশোধন প্লান্টের সঙ্গে সংযোগ নেই। এ নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত। সেই সংক্রান্ত মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। এনিয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত।

আরও পড়ুন:বেড়ালের জন্য বায়ু দূষণ! কলকাতায় অভিযোগ পেয়ে প্যানেল গঠন NGT-র

এই সংক্রান্ত মামলায় জাতীয় পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ওই এলাকায় কতগুলি হোটেল এবং খাবারের দোকানের নিকাশি ব্যবস্থা বর্জ্য পরিশোধন প্লান্টের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে? সে বিষয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে অনেক খাবারের দোকান এবং হোটেলের ক্ষেত্রে পর্ষদের অনুমোদন নেই বলে অভিযোগ তোলেন মামলাকারী। তার প্রেক্ষিতে এই সমস্ত হোটেলের মধ্যে কারা পরিবেশ বিধি মানছে না অথবা কাদের কাছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অনুমোদন নেই সমস্ত বিষয়টিও রিপোর্টে উল্লেখ করতে বলেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত।

প্রসঙ্গত, এই এলাকায় যে সমস্ত হোটেলে এবং খাবারের দোকানে গজিয়ে উঠেছে অনুমোদনহীন সেই সমস্ত হোটেল এবং খাবারের দোকানগুলি বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। কিন্তু তারপরও দেখা যায় সেখানে অনেকেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে দূষিত তরল বর্জ্য গঙ্গায় মিশছে। শুধু তাই নয়, এর ফলে মানুষের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে। কারণ বহু দোকান ও হোটেল রাস্তার পাশে তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে হোটেল ও খাবারের দোকানে ভিড়ের কারণে মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন সুভাষ দত্ত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। এদিকে, এই মামলায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ছাড়াও রাজ্য সরকার, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর, পরিবেশ দফতর, হাওড়া পুরসভা, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর, ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা-সহ বিভিন্ন পক্ষকে মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে মামলাকারীদের অবস্থান জানাতে বলেছে আদালত। আগামী ১০ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

বাংলার মুখ খবর

Latest News

মা কি মিথ্যা বলবেন-বিজেপি শিখিয়ে দেওয়ার কথা বলতেই ফোঁস করে উঠলেন দেবাংশু উৎসবে কি ফিরছেন বাঙালিরা? দুর্গাপুজোর এক মাস আগে কী বলছেন পোশাক বিক্রেতারা বিজেপি নেতার ছেলের বিলাসবহুল গাড়ি পিষে দিল রাজপথে, পরপর ধাক্কা! আহত ২জন মুখ্যমন্ত্রীকে সংবিধানের ১৬৭ অনুচ্ছেদ মনে করালেন রাজ্যপাল, রাতেই পৌঁছল বার্তা পুলিশি হেনস্থা, ২০ বছর অবধি চালানোর দাবি, ৩ দিনের ট্রাক ধর্মঘটের ডাক রাজ্যে হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করতে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ, বাড়ানো হবে CCTV ‘রেপ টেপ’ মন্তব্য় নিয়ে ডোনাকে খোঁচা,তারাসুন্দরীর বড় দিদিমণিকে কুর্নিশ অপরাজিতার ‘ওঁদের ঠেলবেন না…’ দেহরক্ষীদের থাকে কাদের রক্ষা করতে ধমক দিলেন জাহ্নবী LIVE: স্বাস্থ্য ভবনের ১০০ মিটার আগেই আটকাল হল সাফাই অভিযানকে, অবস্থান ডাক্তাররা রুশ সেনাবাহিনীতে জোর করে নিয়োগ, ১৫ ভারতীয়কে মুক্তি দিল রাশিয়া, দাবি সাংসদের

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.