দিলীপ ঘোষের মতোই রাজ্য সরকারের চাঁচাছোলা সমালোচনা করলেন নয়া রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে অনেকটা পরিমার্জিত ভাষায়। ত্রাণ দুর্নীতি থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা–সহ একাধিক বিষয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন সুকান্ত মজুমদার। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলেন রাজ্যের নানা বিষয় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সমালোচনা করলেন তিনি।
মগরাহাট পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার মৃত্যু নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলায় দুষ্কৃতীর হাতে প্রার্থী মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বাংলার মাথা হেঁট করে দিয়েছে এইসব ঘটনা। একজন প্রার্থী শাসকদলের গুন্ডাবাহিনীর হামলায় মারা গেলেন। সেটা অবশ্যই বাংলার গণতন্ত্রের একটি কালো দিন।’ সুতরাং সরাসরি এই ঘটনায় তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে জড়িয়ে দিলেন।
এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। বরং অভিযোগ করে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের বুথস্তর থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত নেতারা কাটমানিতে চলেন। বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা যাদের নিমন্ত্রণপত্র পাঠাচ্ছেন বা পাঠাবেন তাদের মাধ্যমে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। গ্রামগঞ্জে সরকারি প্রকল্পের টাকা লুঠ হচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছয় না।’ এই কথা আগে দিলীপ ঘোষও বলেছেন। এবার সুকান্ত মজুমদার বললেন। এই নিয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘দিলীপ ঘোষের জায়গা নেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করছেন নতুন সভাপতি। তাই এইসব অভিযোগ করছেন।’
তবে এদিন বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘বেকারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা হয়েছে। চাকরি বিক্রি হয়েছে। গ্রামেগঞ্জে গেলেই বুঝতে পারবেন, কোন তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে কত টাকা দিলে স্কুলে চাকরি হবে। এটা বাচ্চা ছেলেরা বলে দেবে।’ অর্থাৎ টাকা দিয়ে সরকারি চাকরি পাওয়া যায় এটাই বোঝাতে চাইলেন তিনি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।