গত শনিবার ধুন্ধুমার বেঁধেছিল কলকাতা পুরসভায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন কাউন্সিলররা ওইসব কেন্দ্রীয় বাহিনী কাউন্সিল সজল ঘোষের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। উত্তর কলকাতার বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের পুরসভায় সাংবাদিক বৈঠক করা নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছিল। তার পরেই কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা পুরসভা। সিদ্ধান্ত হয়েছে মেয়র ফিরহাদ হাকিম ছাড়া আর কোনও জনপ্রতিনিধির নিরাপত্তারক্ষীদের পুরসভার ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। এছাড়াও, একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভার অন্দরে রণক্ষেত্র চেহারা, শাসক–বিরোধী কাউন্সিলরদের মারপিঠ
এদিকে, এই ঘটনার পরে উত্তর কলকাতার বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কলকাতা পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে কাউন্সিলারদের নিগৃহ হওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য, উত্তর কলকাতার ওই বিজেপি নেতাকে সঙ্গে নিয়ে পুরসভার কাউন্সিলর ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন সজল ঘোষ। কিন্তু, সাংবাদিক সম্মেলনে বাধা দেন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলররা। তাঁদের দাবি ছিল, কাউন্সিলর ছাড়া অন্য কোনও নেতাকর্মীরা এখানে সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারবে না। তাই নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে আক্রান্ত হয় তৃণমূল কংগ্রেস। বাদ যায়নি মহিলা কাউন্সিলররাও।
সেই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে বুধবার পুরসভায় বৈঠক করেন মালা রায়। বৈঠকে ছিলেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার, পুর সচিব হরিহর প্রসাদ মণ্ডল, মুখ্য সচেতন বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত সহ অন্যান্য কাউন্সিলররা। তাতেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নিরাপত্তারক্ষীরাই পুরসভার লবিতে প্রবেশ করতে পারবে। অন্য জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তারক্ষীদের থাকার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা করে দেওয়া হবে। সেই জোনের মধ্যেই তাদের থাকতে হবে। আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, কাউন্সিলর ক্লাবে বা কাউন্সিলর লবিতে আর কোনও দলের কাউন্সিলরা সাংবাদিক বৈঠক করতে পারবেন না। সাংবাদিক সম্মেলন শুধুমাত্র নির্দিষ্ট জায়গাতেই করা যাবে। শুধু তাই নয়, কাউন্সিলর রুমে শুধুমাত্র কাউন্সিলর ছাড়া আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে।
মালা রায় বলেন, ‘পুরসভায় এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা মোটেই কাম্য নয়। পুর প্রতিনিধিদের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় থাকুক এটাই আমরা চাই। এই ঘটনা কেন ঘটল? তাই নিয়ে আমরা বৈঠক করি এবং বৈঠকে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা চাই না আর এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটুক।’